এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির শোক প্রকাশ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দেশ বরেণ্য এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।

এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করছেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু এবং ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক দেশে ফেরার জন্য রওনা দিয়েছেন বলে জানান শফিকুর ইসলাম বাবু।

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে এ যেন এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এন্ড্রু দা যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।’

সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোর তাঁর গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। তার শেষ স্টেজ শো আমার সাথে ছিল। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা।’

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দেশ বরেণ্য এই শিল্পী। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার ৯ মাস পর গত ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। সপ্তাহ খানেকের বেশি মিরপুরের বাসায় সময় কাটানোর পর রাজশাহী চলে আসেন।

এই সঙ্গীতশিল্পী আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ওগো বিদেশিনী’সহ অসংখ্য গান।

Ad