সুখে থাকাটা জরুরী : নাহারিন চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক : নাহারিন চৌধুরী বর্তমানে এনার্জিপ্যাক ওকোড – এ হেড অফ ইনোভেশন হিসেবে কর্মরত আছেন। এত ব্যস্ততার মাঝে কিভাবে নিজেকে সুখী রাখা যায়? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা বললেন –
ব্যস্ততার সাথে সুখে থাকা অথবা না থাকার খুব বেশি কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করিনা। সুখে থাকাটা সম্পূর্ণ একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। তবে আমি খুব সহজ একটা ক্যালকুলেশন জানি এবং মানি সুখে থাকতে চাইলেই সুখে থাকা যায়। খুব বেশি ভেবে, খুব বেশী বড় স্বপ্ন দেখে, খুব চিন্তা ভাবনা করে সুখে থাকাটা কঠিন।
সুখে থাকাটাকে খুব সহজভাবে দেখতে হবে। খুব কঠিন কিন্তু ব্যাপারটা না। আমার ক্ষেত্রে আমি দুই ঘণ্টা জার্নি করে ফ্যাক্টরি যেতে আনন্দ বোধ করি, দশ-বারো ঘন্টা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থেকে বাসায় এসে মেয়ের কাছে সারা দিনের তার গল্প শুনতে আনন্দ বোধ করি, আমি আমার আনন্দ বা সুখে থাকাটাকে আমার জীবনের সাথে সিঙ্ক করে নিয়েছি।
আমার দৈনন্দিন কাজের যা প্যাটার্ন অথবা রুটিন প্রত্যেকটি জিনিসকে আমি আনন্দের সাথে গ্রহণ করি। আলাদা করে সুখ খুঁজতে যাওয়াটা কঠিন তাই আমি প্রত্যেকটি বিষয়ের মধ্যেই নিজেকে সুখী রাখার চেষ্টা করি। বলতে গেলে আমি আমার ব্যস্ততাটাকেও আমার জীবনের একটা সুখের অংশ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি।
কে কিভাবে সুখে থাকবে অথবা কে কত ব্যস্ত থাকছে, এতকিছু হিসেব আমি আসলে জানিনা, আমি যেটা জানি প্রত্যেকটি মানুষের সুখে থাকাটা জরুরী, এবং প্রত্যেকটি মানুষের সুখে থাকার অধিকার আছে।