প্রশংসিত পিয়াল হোসেনের ‘ফ্যাশন ফর লাভ’
আফজালুর ফেরদৌস রুমন : গত দুই দশক ধরেই ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন পিয়াল হোসেন। যুগের সাথে বদলে যাওয়া ফ্যাশন সেন্স বা বিশ্বে সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় ট্রেন্ডের সাথে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যর মেলবন্ধনের ঘটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই ঢাকার অভিজাত হোটেল ওয়েষ্টিনে নিজের গ্রীস্মকালীন কালেকশন নিয়ে একটি ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করেন তিনি। করোনাকালীন বিধিনিষেধ মেনে নিয়েই ‘ফ্যাশন ফর লাভ’ নামক এই শোটি এরই মধ্যে আলোচনা এবং প্রশংসা কুড়িয়েছে।
পিয়াল হোসেন ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও কাজ করছেন। তার প্রযোজনার প্রথম সিনেমা ‘স্বপ্নবাজি’ নাম ঘোষনার পর থেকেই আলোচনায়। পরবর্তীতে পোষ্টার এবং শিল্পী তালিকাও দর্শকদের আগ্রহ জাগাতে সফল হয়েছে। আমাদের দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নানা জানা-অজানা গল্প নিয়ে নির্মিতব্য এই সিনেমার প্রথম লটের শ্যুটিং শেষ হয়েছে।
এই সময়ের অন্যতম আলোচিত পরিচালক রায়হান রাফির পরিচালনায় এই বিগ বাজেটের সিনেমায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, মাহিয়া মাহী, জান্নাতুল পিয়া, প্রিয়ন্তি উর্বী, গোলাম কিবরিয়া সহ আরো অনেকে। এছাড়া সৈকত নাসিরের পরিচালনায় আরেকটি সিনেমার ঘোষনা দিয়েছিলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি উদয় হলে প্রজেক্টগুলি পিছিয়ে যায়।
সিনেমার প্রযোজক হিসেবে ব্যস্ত হলেও নিজের ভালোবাসা এবং ভালোলাগার জায়গা মানে ডিজাইনার হিসেবে এখনো কাজ করছেন তিনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। ‘ফ্যাশন ফর লাভ’ নামক ফ্যাশন শোয়ে দেশের সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে প্রায় ২৫ জন জনপ্রিয় এবং আলোচিত মডেলদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন র্যাম্পের জনপ্রিয় নাম বুলবুল টুম্পা।
এই শোয়ে শুধুমাত্র ডিজাইনার পিয়াল হোসেনের কালেকশনে র্যাম্পে হেটেছেন মডেলরা। সাধারণত আমাদের দেশে শুধুমাত্র একজন ডিজাইনারের পোষাক নিয়ে এতো বড় পরিসরে ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়না। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এটি অবশ্যই ব্যতিক্রমী এবং চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তবে পিয়াল হোসেন এবং তার টিম এই কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন সফলভাবেই।
উল্লেখ্য, কাজি নাজমুল হাসানের তত্ত্বাবধানে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই শোয়ে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন সৈয়দ রুমা, লিমি, মারিয়া কৃস্পিতা, অন্তু করিম, আসিফ আহসান খান, সিম্মি, কুমার উদয়, রাকিব হাসান বাপ্পি, বারিশ হক সহ আরো অনেকে।
সামনের দিনেও আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংস্কৃতির মিশেলেই নিজের ডিজাইন দিয়ে দেশকে এবং দেশের ঐতিহ্যকে সবার সামনে তুলে ধরার ইচ্ছা এই জনপ্রিয় ডিজাইনারের৷ তিনি বলেন, আসলে এখন প্রতিনিয়ত ফ্যাশন বদলে যাচ্ছে, ইন্টারনেটের কল্যানে সেটা আমাদের তরুন প্রজন্মের কাছেও পৌছে যাচ্ছে সহজেই। তাই তাদের সেই রুচি, চাহিদা মাথায় রেখেই কাজ করতে হচ্ছে।
আমাদের দেশে এখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালো কাজ হচ্ছে। আমি আশাবাদী আমাদের কাজগুলো বিশ্ববাজারেও প্রশংসিত হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাকিটা সময়ই বলে দিবে যে, কতোটা সফল আমরা!! শুভ কামনা রইলো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে দুই দশক ধরে কাজ করে যাওয়া এই গুনী মানুষটির জন্য।