নতুন তিন চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হলেন কায়েস আরজু

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : চট্রগ্রামের ছেলে কায়েস আরজুর মিডিয়াতে পদচারনা ২০০৭ সাল থেকে। ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ নামক সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষিক্ত হন তিনি। প্রথম কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি খুব পরিচিত না পেলেও সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ সিনেমা মুক্তির পর তিনি সবার নজরে পড়েন।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পূর্বে কায়েস আরজু চট্টগ্রামে গ্রুপ থিয়েটারে কাজ করতেন। এরপর ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’, ‘অবুঝ প্রেম’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, অনুদানের সিনেমা ‘হেডমাস্টার’ তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে।

কায়েস আরজু চট্টগ্রামে গ্রুপ থিয়েটারে কাজ করতেন। ঢাকায় আসার পর তিনি বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করা শুরু করেন। জনপ্রিয় নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু ফোন অপারেটরের কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সময় তাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার জন উৎসাহ দেন।

পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হাসিবুল ইসলাম মিজান তাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব দেন। এভাবেই ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হয়।

সময়ের সাথে সাথে নিজেকে একজন পরিনত এবং দক্ষ অভিনেতা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা তাকে এই কঠিন সময়েও যারা নিয়মিত চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ইফতেখার চৌধুরীর আলোচিত ‘মুক্তি’ সিনেমায় একজন নতুন এবং পরিনত অভিনেতা কায়েস আরজুর দেখা মিলবে বলে জানিয়েছেন এই চিত্রনায়ক। সিনেমার গল্প, তার চরিত্র এবং ভিন্নধর্মী নির্মান দর্শকদের মন জয় করবে বলে আশাবাদী তিনি।

সম্প্রতি আরো নতুন তিনটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক শাহীন সুমনের তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য তিনটি সিনেমার মধ্যে জাফর আল মামুন পরিচালিত ‘এক পশলা বৃষ্টি’ সিনেমার কাজ শুরু হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকেই। এ সিনেমাতে আরজুর বিপরীতে রয়েছেন নায়িকা আচল। বাকি দুইটা সিনেমার অফিসিয়াল ঘোষনা আসবে খুব শিগগিরই বলে জানান আরজু।

একই সাথে তিনটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তিনি। কারন ইন্ডাস্ট্রি বাচাতে সিনেমার সংখ্যা যেমন বাড়াতে হবে তেমনি মানসম্মত সিনেমাও উপহার দিতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে সিনেমাকে ভালোবেসে নতুন একটা প্রজন্ম কাজ করে যাচ্ছে অনবরত।

হল সংখ্যা কমে যাওয়া, সময়ের সাথে সাথে বদলে যাওয়া দর্শকদের হল মুখী করার চ্যালেঞ্জ, ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে হাজির হওয়া সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হিমশিম খাওয়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ফিরে পাবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিন এমনটাই আশা করে তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতা এবং ডেডিকেশন দিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন এই রূপালী জগতে এই কামনা রইলো কায়েস আরজুর জন্য।

Ad