ভিন্নধর্মী চরিত্রে প্রশংসিত সজল

বিনোদন প্রতিবেদক : গত ৮ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফরম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছ সাইকো থ্রিলার গল্পের ‘ব্যাচ ২০০৩’ নামক ওয়েবফিল্ম। পার্থ সরকার পরিচালিত ভিন্নধর্মী কনটেন্ট নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি ইতিমধ্যে দর্শকদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছে।

সাইকো-থ্রিলার গল্পের সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে রাফায়েল আহসানের গল্প অবলম্বনে। চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা নিজেই। ক্ল্যাপবোর্ড এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত এ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ অভিনয় করেছেন সজল, তাসনুভা তিশা, শিপন মিত্র, কাজী নওশাবা আহমেদ প্রমুখ।

ক্যারিয়ারে নানা মাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল। অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন। এবার সেই গণ্ডি পেরিয়ে দর্শকের সামনে নতুন এক রূপে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পাওয়া ‘ব্যাচ ২০০৩’ সিনেমাতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছে সজলের দুর্দান্ত অভিনয়। একজন প্রতিশোধ পরায়ণ খলনায়ক হিসেবে পর্দায় দেখা মিলেছে তার। অনেকদিন পরে যেনো এক ভিন্ন সজলের আবির্ভাব হয়েছে। এমন গল্প এবং চরিত্রে প্রিয় অভিনেতাকে দেখে প্রশংসা করছেন দর্শকরা।

‘ব্যাচ ২০০৩’র গল্পটা শুরু হয় মুলত কিছু স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে। স্কুল জীবন শেষ করার পর স্বাভাবিকভাবেই সময়ের নিয়মে জীবনের তাগিদে সকল বন্ধুরাই যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। কেউ চাকরি করছেন, কেউ বা ব্যবসা, কেউ জনপ্রিয় অভিনেত্রী আবার কেউ বা স্বামী-সংসার নিয়ে গৃহিণী হিসেবে জীবন যাপন করছেন। একটি রিইউনিয়নের মাধ্যমে অনেকদিন পরে তাদের দেখা হয়।

আগের সেই স্কুল জীবনের সম্পর্ক এবং এই সময়ে এসে বদলে যাওয়া সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েই গল্পের নানা বাক উঠে এসেছে। গল্পে আরো দেখা যায় যে রি-ইউনিয়নে এসে হাসি-ঠাট্টা, গল্প গুজবের পাশাপাশি উঠে আসে নিজেদের ভালো-মন্দ নানা রকম অতীত জীবনের স্মৃতি। যা অনেকেই ভালো ভাবে নিতে পারে না।

গল্পের এই পর্যায়ে দেখা যায় সুমন রুপী সজলকে নিয়ে থাকে প্রায় সবারই উৎকণ্ঠা। মারজান চরিত্রটিকে দেখা যাবে যে, সুমনকে নিয়ে তার বাড়তি আতঙ্ক আছে। স্কুল জীবনে মুলত এই মারজান এবং অন্য বন্ধুরা মিলে সুমনকে বুলিং করতো। যেটা মাত্রা বা সীমা ছাড়িয়ে যায় অনেকবার।

তাই এই রিইউনিয়নে সুমনের আসাটা বাকিদের মনে বেশ স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ের উদ্রেক করে। এরই মাঝে হঠাৎ করে জানা যায় কেউ একজন খুন হয়েছে। কিন্তু কে খুন করেছে বা কাকে খুন করেছে এসব সুত্র ধরেই গল্প এগিয়ে যেতে থাকে। বাকিটা দেখে নিতে হবে ‘বিঞ্জ’ প্ল্যাটফর্মের এই ফিকশনে।

ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা এবং ভালোবাসা নিয়ে অভিনেতা সজল জানান, সত্যি কথা বলতে এই কাজটির জন্য কতোটা পরিশ্রম করেছি সেটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। যখন কোনো কাজ ডেডিকেশন নিয়ে করা হয় তখন সেই কাজটির প্রতি একটা আশা তৈরি হয়। এই সিনেমাটি নিয়ে আমি অনেক বেশি আশাবাদী ছিলাম। গল্প শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, ভিন্নধর্মী একটি কাজ হতে যাচ্ছে এটা৷ দর্শকদের এমন ভালোবাসায় আমি ভীষণ আপ্লুত।

নির্মাতা, সহশিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফার সহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাকে সাপোর্ট করার জন্য। সামনের দিন গুলোতে ভিন্নধর্মী কনটেন্ট এবং শক্তিশালী চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে তিনি অভিনেতা এগিয়ে যাবেন আরো অনেক দূর এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন সফলতা এবং দক্ষতার শীর্ষ স্থানে এই কামনা রইলো।

Ad