নিয়মিত কেন খাবেন খেজুর?

ফিচার ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিরা ইফতারে প্রথম খেজুর খান। শুধু তাই নয় অনেকে আবার সারা বছর খেজুর খায়। প্রতিনিয়ত খেজুর খাওয়ার রয়েছে বিস্তর উপকারিতা। আরব দেশগুলো বিশ্বে খেজুর রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।

খেজুর মিষ্টির এক প্রাকৃতিক উৎস। অন্য মৌসুমের চাইতে রমজান মাসে বাজারে বিভিন্ন জাতের খেজুর পাওয়া যায়। প্রতিটির আকার, স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ বিভিন্ন রকম। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী খেজুর আজওয়া। হযরত মোহাম্মদ (সা.) এই খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাছাড়া আনবারা, সাফাওয়ি, বারহি, সেগাই খেজুর গুলো সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।

সহিহ বুখারি হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও জাদু ক্ষতি করতে পারবে না। এই খেজুর খেলে গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনা কম হয়।

সৌদি আরবে প্রতি কেজি আজওয়া খেজুরের দাম পরে ৫০ থেকে ১০০ সৌদি রিয়াল। আমাদের দেশে সুপারশপে ৫০০ গ্রাম আজওয়া খেজুর পাওয়া যায় ১,৩৭০ টাকায়। তবে সুপারশপের বাইরে থেকে কিনলে খরচ আরেকটু কম পরে।

খেজুরের বিস্তর উপকারিতা

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার অসুখ প্রতিরোধ করে, বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার ঝুঁকি কমায় আর খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ও ভালো রাখে হৃদযন্ত্র কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেম মস্তিষ্ক ভালো রাখে। হাড় শক্তিশালী করে গড়ে তুলে। খেজুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সক্ষম।

দিনভর শক্তি পেতে সকালে খান খেজুর। ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট আগে কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিন। এতে যেমন দ্রুত হাঁপিয়ে যাবেন না, তেমনি পেটে থাকা দূষিত পদার্থও দূর হবে। অনেকে সারারাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খান। খেতে পারেন এভাবেও।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে সুপরিচিত খেজুর খেতে পারেন ঘুমানোর আগে। তবে হজমের সমস্যা থাকলে ভারি খাবার খাওয়ার পর পরই খাবেন না খেজুর। ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানা থাকলেও এড়িয়ে চলুন ফলটি।

ভোজ্য আঁশ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি, এই চারটি পুষ্টি উপাদান মানুষ বরাবরই কম গ্রহণ করে। আর মাত্র চারটি খেজুর থেকে পেতে পারেন ভোজ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২৭ শতাংশ এবং পটাসিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ। ফলে প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে এমন দুটি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

খেজুরের নানা রকম গুণের কথা শুনে যদি সকাল বিকাল খেজুর খাওয়া শুরু করেন তবে বিপদ আসতে খুব বেশি দেরি হবে না। তাই পরিমাণ মাথায় রাখতে হবে। ভালো খাবারও অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে তা কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Ad