সময়ের অন্যতম ব্যস্ত এবং আলোচিত নায়ক ইমন

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : কঠিন সময় পার করা ঢাকাই সিনেমায় এই সময়ে যেকয়জন অভিনেতা ভিন্নধর্মী গল্প এবং বৈচিত্র‍্যময় চরিত্রে নিয়মিতভাবে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম ইমন। মডেল এবং অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এই চিত্রনায়ক তার আপকামিং বেশকটি ব্যতিক্রমী সিনেমা নিয়ে বেশ আলোচনায় আছেন। আজ তার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে বিশেষ ফিচার।

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল নোবেলকে দেখেই মডেল হবার ইচ্ছা জাগে ইমনের। মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা শুরু। তবে একটা সময় মডেল হিসেবে পরিচিতি পাবার পরে প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মাধ্যমে নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় সেসময় বেশ বিভ্রান্তিতেই পড়েছিলেন।

তখন নিজের মাঝে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এক জেদ থেকেই বিগত প্রায় ১৪ বছর ধরে পুরোদস্তুর চলচ্চিত্রের অভিনেতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। হ্যা সময়ের বিচারে হয়তো যতোটা জনপ্রিয়তা বা সাফল্য পাবার কথা ছিলো সেটা পাওয়া হয়নি ইমনের তবে বিগত কয়েক বছর ধরে নিজের মেধা, পরিশ্রম এবং অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে ইন্ডাস্ট্রির এই কঠিন সময়েও ব্যস্ত এবং সম্ভাবনাময় অভিনেতা হিসেবে একটা স্বতন্ত্র জায়গা করে দিতে পেরেছে।

এই সময়ে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত ভাবে যে অল্প কয়জন অভিনেতা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত একটি নাম ইমন। বদলে যাওয়া দর্শকদের রুচির কথা মাথায় রেখে বেশকিছু নবীন কিন্তু দক্ষ তরুনের পদচারণায় কঠিন সময় পার করা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আবারো ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই আশা করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট সকলে।

এই তরুনদের হাত ধরেই ভিন্নধর্মী গল্প, চিত্রনাট্য এবং মেকিংয়েও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশকিছু ভিন্নধর্মী সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন ইমন। সাম্প্রতিক সময়ে দর্শকদের চাহিদা এবং বদলে যাওয়া বিনোদন মাধ্যমের কথা মাথায় রেখেই ভিন্নধর্মী কনটেন্ট এবং চরিত্রের বৈচিত্র‍্য আছে এমন সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।

চলচ্চিত্রে ইমনের যাত্রা শুরু হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে খ্যাতিমান অভিনেতা এবং নির্মাতা তৌকির আহমেদের পরিচালনায় ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমার মাধ্যমে। সর্বশেষ ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমায় ইমনকে ভিন্নধর্মী একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। গতবছর করোনার কারনে বেশ লম্বা একটা সময় বিরতি কাটিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বেশকটি ভিন্নধর্মী সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি।

ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় ‘ব্লাড’, সৈকত নাসিরের ‘আকবর- ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ঢাকা’ এই দুটি সিনেমার কাজ করোনার কারনে পিছিয়ে গেলেও অঞ্জন আইচের ‘আগামীকাল’ ও ‘কানামাছি’ এবং সাদেক সিদ্দিকীর ‘সাহসী যোদ্ধা’, রকিবুল আলম রকিব পরিচালিত ‘বিয়ে আমি করবো না’, সাইদুল ইসলাম রানার পরিচালনায় ‘বীরত্ব’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন তিনি।

প্রতিটা সিনেমার গল্প এবং তার চরিত্র একটি অন্যটির চেয়ে আলাদা এবং দর্শকেরা এই সিনেমাগুলি মুক্তি পেলে এক নতুন ইমনকে দেখতে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই পরিশ্রমী চিত্রনায়ক। শুভকামনা রইলো ইমনের জন্য। চলচ্চিত্র অংগনে নিজের চেষ্টা, পরিশ্রম এবং টিকে থাকার লড়াই আজ তাকে একটা সম্ভাবনার জায়গায় দাড় করিয়েছে, সামনের দিনগুলোতে এই জায়গা আরো পাকাপোক্ত হবে এবং অভিনেতা হিসেবে তিনি জয় করবেন সবার মন এটাই কামনা।

Ad