‘সিরামিক টেবিলওয়ার সেক্টরে ক্যারিয়ারের সফলতার গল্প’

নিজস্ব প্রতিবেদক : খন্দকার ফয়েজ আহমেদ। তিনি ধানমন্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৮ সালে ব্যবসা প্রশাসনে মার্কেটিংয়ের ওপর স্নাতক শেষ করেন। ক্যারিয়ার শুরুতেই তিনি জনপ্রিয় কর্পোরেট হাউস বেক্সিমকো গ্রুপে কাজ করেন। বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসে ক্যারিয়ার জীবনের প্রথম পাঁচটি বছর সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করেছেন তিনি।

এছাড়াও ২০১৫ সালের শুরুতে বেক্সিমকো ছেড়ে জয়েন করেন সিরামিকসের টেবিলওয়্যার প্রতিষ্ঠান স্টার পোরসেলিনে। সেখানে দশ মাসের মতো কাজ করেন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং বিভাগে। সে বছর অক্টোবরের শেষের দিকে মুন্নু সিরামিকসে ইন্টারন্যাশনাল সেলস এবং মার্কেটিং বিভাগে সিনিয়র ম্যানেজার পদে যোগদান করেন।

বর্তমানে তিনি মুন্নু সিরামিকসের হেড অব ব্র্যান্ড এবং রিটেইল অপারেশনস হিসাবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিংয়ের উপ মহা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ক্যারিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে এসকে মিডিয়ার সাথে কথা বলেছে তিনি।

খন্দকার ফয়েজ আহমেদ।

শুরুতেই আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে খন্দকার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘ধানমন্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৮ সালে ব্যবসা প্রশাসনে মার্কেটিংয়ের ওপর স্নাতক শেষ করি। তারপরই ইন্টার্নশিপ শুরু করি দেশের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট হাউস বেক্সিমকো গ্রুপে। আর তারপর খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সেখানে ক্যারিয়ার শুরু করতে। ক্যারিয়ারের সব অর্জনের গোড়াপত্তন বলতে পারেন এখান থেকেই। বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসে ক্যারিয়ার জীবনের পাঁচটি বছর কাটাই সফলতার সঙ্গে।

ক্যারিয়ারের শুরু ও প্রথম ধাপ পেরোনো ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগে এবং পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করা। সত্যি বলতে, ক্যারিয়ারের শুরুতেই আমি পেয়ে যাই একজন দক্ষ মেন্টর যার কাছ থেকেই ইন্টারন্যাশনাল সেলস, মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিংয়ের হাতেখড়ি। যা পরবর্তীতে নিজের ক্যারিয়ার গঠনে এবং সফলতার পেছনেও একটা বিশাল ভূমিকা রেখেছে। তারপর ২০১৫ সালে বেক্সিমকো ছেড়ে জয়েন করি আরএকে সিরামিকসের টেবিলওয়্যার প্রতিষ্ঠান স্টার পোরসেলিনে।’

খন্দকার ফয়েজ আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সেটা একটা নতুন কোম্পানী ছিলো এবং কাজের পরিধির সীমাবদ্ধতার কারনে সেই বছর অক্টোবরের শেষের দিকে মুন্নু সিরামিকসে ইন্টারন্যাশনাল সেলস এবং মার্কেটিং বিভাগে সিনিয়র ম্যানেজার পদে যোগদান করি। যোগদানের পরপরই বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশক্রমে মুন্নুর রি-ব্র্যান্ডিংয়ের কাজে হাত দেই। তারই ধারবাহিকতায় এই ব্র্যান্ডটাকে আরো বেশী মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাবার জন্য রিটেইল অপারেশনের দায়িত্ব নেই।

শুরুতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও ধীরে ধীরে সবার সহযোগীতায় এখন মুন্নু সিরামিক দেশের নাম্বার ওয়ান সিরামিক ব্র্যান্ড। আমরা গতো বছর বনানীতে চালু করেছি দেশের সর্বপ্রথম ইউরোপীয়ান ফ্ল্যাগশীপ মডেলের আদলে ‘মুন্নু ফ্ল্যাগশীপ স্টোর’ যেখানে কাস্টমাররা তাদের ডাইনিং থেকে শুরু করে হোম ডেকর সহ সব ধরনের প্রোডাক্ট পাবে এক ছাদের নীচে। সামনে আরো একটি নতুন ফ্লাগশীপ আউটলেট চালু হচ্ছে উত্তরাতে।’

খন্দকার ফয়েজ আহমেদ।

মুন্নু সিরামিকস নিয়ে খন্দকার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘এর যাত্রা শুরু ১৯৮৪ সালে। দেশের প্রথম সিরামিক কোম্পানি, যাদের হাত ধরে রফতানি শুরু হয় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে। ৩৬ বছর ধরে এ ব্র্যান্ড তাদের পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে পৃথিবীর ৫০টিরও বেশি দেশে। তৈরি করছে পৃথিবীর নামিদামি ব্র্যান্ডের সিরামিকের পণ্য। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ ১২ বার জাতীয় রফতানি ট্রফি অর্জন করে মুন্নু সিরামিক। দেশের বাজারে গতো তিন যুগ ধরে মানুষের ঘরে ঘরে, উৎসব আয়োজনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই ব্র্যান্ড গতবছর বেস্ট টেবিলওয়্যার সিরামিক ব্র্যান্ড ক্যাটাগরিতে অর্জন করে ‘সুপারব্র্যান্ডস’।

Ad