প্রশংসিত তানভীর-নাদিয়ার ‘কাওরান বাজার’

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : এই সময়ের আলোচিত এবং দক্ষ অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর এই সময়ে নাটক, বিজ্ঞাপন নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের এক দশক পার করে এই সময়ে এসে বেশ কিছু ভিন্নধর্মী গল্প নির্ভর কাজ নিয়ে বেশ আলোচনায় তানভীর। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার প্রচারিত ব্যতিক্রমী গল্প নিয়ে স্ম্যাক আজাদের পরিচালনায় ‘কাওরানবাজার’ নাটকে মিন্তি চরিত্রে অভিনয় করে আবারো আলোচনায় তিনি।

করোনার মাঝেই বিধিনিষেধ মেনে নাটকের শ্যুটিং সম্পন্ন করে পুরো টিম। স্ম্যাক আজাদের রচনা এবং পরিচালনায় একক নাটক ‘কাওরানবাজার’ এ দেখা গেছে রাজধানী শহরের সবচেয়ে বড় বাজার কাওরানবাজারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা সমাজের নিম্নশ্রেনীর মানুষের গল্প।

গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে ‘কাওরানবাজার’ নাটকের গল্প বা কনটেন্ট বেশ ব্যতিক্রম একথা বলতেই হয়। মূল চরিত্রে তানভীর এবং নাদিয়ার পাশাপাশি প্বার্শ চরিত্রে যারা ছিলেন তারাও নজর কেড়েছে। রিয়েল লোকেশনে সামাজিক প্রেক্ষাপটের এই নাটক গতানুগতিকের বাইরে আলাদা ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

মিন্তি রাজুর চরিত্রে তানভীর এবং সবজি বিক্রেতা রানীর চরিত্রে শালহা খানম নাদিয়ার লুক ও অভিনয় প্রশংসা পাচ্ছে সকলের কাছ থেকেই। নন-গ্ল্যামারাস রানী রূপে নাদিয়া প্রমান করেছেন তিনি এই সময়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় একজন অভিনেত্রী যিনি সকল চরিত্রেই নিজের অভিনয় দক্ষতা তুলে ধরতে সক্ষম।

অন্যদিকে মিন্তি রাজুও ছিলেন মানানসই। গল্প এবং চরিত্রের সাথে মিল রেখে নাটকটি বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করার জন্য ঢাকার জনবহুল কাওরানবাজারেই নাটকটির শ্যুটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো টিমের কষ্ট এবং পরিশ্রম সফল হয়েছে একথা বলাই যায়। নাটকটি প্রচারের পর আলোচনায় তেমনি ইউটিউবে রিলিজের পর ইতিমধ্যে দেড় লাখের বেশি দর্শক নাটকটি দেখেছেন।

ভিন্ন একটি গল্পে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে নিজের পুরোটাই দিয়েছেন অভিনেতা তানভীর। এই ধরনের গল্পে এমন চরিত্রে এই প্রথমবার কাজ করছেন তিনি। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে একজন মিন্তির চরিত্রে অভিনয় করাটা নিজের কাছে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই চরিত্র বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য শ্যুটিং এর আগের দিন বিকেল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত কাওরানবাজারে সময় কাটান তিন।

মিন্তিরা কিভাবে কাজ করেন, তাদের কথাবার্তার ধরন, বডি ল্যাংগুয়েজ বা ক্রেতাদের সাথে তাদের দরদাম করা এসব বিষয় খুবই নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করেছেন। চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য একজন মিন্তির কাছ থেকে তাদের পোষাক( লুংগি এবং শার্ট) কিনে নিয়েছেন তিনি। তানভীর

আরো জানান, ‘আসলে এখন ব্যতিক্রমী কাজ হচ্ছে কম। তাই যখন এই নাটকের অফার পাই তখনই সিদ্ধান্ত নেই যে এরকম চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রমান করার সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কাজটি করেছি। দশর্কদের কাছে ভালো লেগেছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’

তিনি আরও জানান, ‘নির্মাতা স্ম্যাক আজাদ যেভাবে চেয়েছেন নিজের জায়গা থেকে আমি চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য পুরোটাই দিয়েছি। এবং সহ-শিল্পী নাদিয়াও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এককথায় পুরোটিম এই কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চেয়েছি। কতোটা পেরেছি সেটা দর্শকেরাই ভালো বুঝতে পারবেন। যারা এখনো দেখেননি আশা করি নাটক দেখার পর তারা হতাশ হবেন না।’

Ad