ঈদের নাটকে প্রশংসিত সজল

বিনোদন প্রতিবেদক : জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। শোবিজের শুরুটা মডেলিং দিয়ে। এরপর নাটকে নাম লিখিয়ে অনবদ্য অভিনয় দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প। বর্তমানে তিনি ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দাতেও নিয়মিত কাজ করছেন।

এবারের ঈদে প্রচারিত হওয়া বেশ কিছু নাটকে ভিন্নধর্মী চরিত্রে দেখা গিয়েছে সজলকে। রোমান্টিক চরিত্রের বাইরে ‘দ্য টিচার’ নামের একটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন শিক্ষকের চরিত্রে। নাটকটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ্। নাটকটি মুক্তির পরই দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরই মধ‌্যে নাটকটি ১৪ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষকের চরিত্রে সজলের অভিনয় দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অভিনেতা সজল এসকে মিডিয়া বিডিকে বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের সুন্দর জীবনের পিছনে হাত রয়েছে শিক্ষকের। একজন শিক্ষকের শিক্ষাই কিন্তু আমরা আলোকিত হই। তারা যদি আমাদের ছোট বেলায় ভালো ভাবে পড়ালেখা না করাতেন তাহলে আমরা আজকের অবস্থান তৈরি করতে পাড়তাম না। ভালো চাকরি কিংবা ভালো ভাবে সমাজে বসবাস করতে পারতাম না। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অভিনেতা-অভিনেত্রী কিংবা আইনজীবি সব ক্ষেত্রে নেপথ্যের কারিগর শিক্ষক।’

প্রতিটি মানুষের ক্যারিয়ার বিকাশে শিক্ষকের ভূমিকা অতুলনীয় উল্লেখ করে এ অভিনেতা বলেন, ‘শিক্ষকের এই ভূমিকা আমরা কখনো উপলব্ধি করি না। গল্পটি যখন শুনি তখন ভীষণ ভালো লাগে। এমন একজন শিক্ষককে আমার জীবনে পেয়েছিলাম। তাকে আমি মামা বলে ডাকতাম। হাতের লেখা থেকে শুরু করে বিবিএ পর্যন্ত তিনি আমার পাশে ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার ওই শিক্ষক মামাকে উৎসর্গ করে কাজটি করেছি। আমার ক্যারিয়ারে তার অপরিসীম অবদান রয়েছে। আমি তার মতো করে চরিত্রটি ধারণ করার চেষ্টা করেছি। বার্ষিক পরীক্ষার সময় আমি রেজাল্ট ভালো করলে মামা আমাকে নাটক দেখতে নিয়ে যেতেন। সেই লোভেও পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো করতাম।’

যোগ করে সজল বলেন, ‘দর্শক নাটকটি দেখে তাদের ভালোলাগা জানাচ্ছেন। ভীষণ সাড়া পাচ্ছি। সহকর্মীরাও কাজটি দেখে খুব প্রশংসা করছেন। সবাই পজিটিভ ভাবে নিয়েছে। এতো ভারি একটি গল্প ঈদের সময় মানুষ পছন্দ করতে পারে সেটা ‘দ্য টিচার’ না দেখলে বুঝতাম না। এতো সুন্দর একটা গল্পের জন্য বান্নাহ্কে ধন্যবাদ।’

Ad