‘এটাকে আমার দূরভাগ্য মনে করছি’

বিনোদন প্রতিবেদক : জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান। তার শুরুটা নায়ক হিসেবে। বহু চলচ্চিত্রে তিনি কখনো মূল নায়ক, আবার কখনো সাইড নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে পর্দায় তার উপস্থিতি ভয়ঙ্কর। অর্থাৎ, বর্তমানে খল চরিত্রে অভিনয় করছেন এই অভিনেতা।

নির্মাণাধীন ও মুক্তির অপেক্ষায় আছে অমিত হাসানের বেশ কিছু সিনেমা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন চার শতাধিক চলচ্চিত্রে। গল্পকে শ্বাসরুদ্ধকরভাবে এগিয়ে নেয়াসহ সিনেমায় গতি এনে দেয় একজন খল-অভিনেতা। দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য সিনেমা তৈরিতে খলনায়কের ভূমিকা অনেক। তাই নায়কের চেয়ে খলনায়কের গুরুত্ব মোটেও কম নয়।

খলনায়কের কাজ হচ্ছে গল্পে ব্যঞ্জনা তৈরি করা। জনপ্রিয় অনেক খল অভিনেতা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তেমনই একজন অমিত হাসান। অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পাননি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কিংবা সরকারি অনুদান। যার কারণে তার মনে রয়ে গেছে আক্ষেপ।

এ প্রসঙ্গে অমিত হাসান বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনেক সম্মানজনক একটি পুরস্কার। প্রতিটি শিল্পীরই প্রত্যাশা থাকে এই পুরস্কারটি পাওয়ার। কিন্তু আমার দূরভাগ্য প্রায় তিন যুগের ক্যারিয়ার আমার অসংখ্যা পজিটিভ-নেগেটিভ চরিত্র আছে, যা দিয়ে পুরস্কার পেতে পারতাম। কিন্তু পাইনি।’

যোগ করে বলেন, ‘নেতিবাচক চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘এইতো প্রেম, ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’, ‘পদ্ম পাতার জল’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’। আবার ইতিবাচক চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘শেষ ঠিকানা’ ইত্যাদি। এমন অনেক ছবি আছে পুরস্কার পাওয়ার মতো কিন্তু এখনও পাইনি। যার কারণে মাঝে মাঝে খুব আক্ষেপ হয়। কাউকে দায়ী করছি না। এটাকে আমার দূরভাগ্য মনে করছি। দেখা গেছে, আমার সমসাময়িক অনেকেই জুরি বোর্ডের সদস্য হচ্ছেন, সরকারি অনুদান পাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া কিছুই পেলাম না।’

শুধু অমিত হাসানই নন অভিনয়ের জাদু দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করলেও অনেক শিল্পীই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাননি জাতীয় পুরস্কার। মনের অজান্তে এই যন্ত্রণায় জ্বলেন দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও কলাকুশলীরা। না পাওয়ার এই কথাগুলো ব্যথা হয়ে ভাসছে রুপালী আকাশে। তারা এখনও প্রত্যাশা করেন তাদের মূল্যায়ন হবে।

Ad