‘হিরো হাংক ১৫০আর’ রাইডিং অভিজ্ঞতা কেমন?

ফিচার ডেস্ক : হিরো ‘দ্য হাংক ১৫০আর’ এ রয়েছে ১৪৯.২ সিসি এয়ার-কুলড ইঞ্জিন, বাইকটি ১৪.২ (BHP) পাওয়ার এবং ১২.৫ (Nm) টর্ক প্রদানে সক্ষম। এছাড়া, দুর্দান্ত বাস্তবিক পারফরম্যান্সের ‘দ্য হাংক ১৫০আর’ তুলনামূলকভাবে বেশ হালকা, পাশাপাশি এটির ডায়মন্ড টিউব্যুলার ফ্রেম সোজা ও বাঁকা রাস্তায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যেও সুবিধা প্রদান করে। অধিকন্তু ১৩০/৭০ (mm) রেডিয়াল রিয়ার টায়ার এর যৌথ সমন্বয় ‘দ্য হাংক ১৫০আর’ কে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাবলীল রাখে।

এছাড়া মোটরসাইকেলটির ‘এজিলিটি, স্ট্যাবিলিটি ও কমফোর্ট’মিলিয়ে রয়েছে রাইডিং ট্রায়াঙ্গেল সুবিধা। আরো আছে ‘ফার্স্ট-ইন-ক্যাটাগরি’ সেভেন ষ্টেপ অ্যাডজাস্টেবল মোনোশক সাসপেনশন, যেটি বাইক চালকদের দুর্দান্ত ও আরমদায়ক অভিজ্ঞতা এনে দেবে।

উন্নতমানের ফিচারগুলো-

‘দ্য হাংক ১৫০আর’ এ রয়েছে বিভিন্ন নিরাপত্তা ফিচার ও সাথে আরো আছে নিরাপদ ব্রেকিং নিশ্চিয়তার জন্য ‘অপশনাল সিঙ্গেল-চ্যানেল (ABS)’। মোটরসাইকেলে আরো দেখা মিলবে নতুন ধাঁচের হুইল ডিজাইন, ২৭৬ (mm)  ফ্রন্ট এবং ২২০ (mm)  রিয়ার ডিস্ক ব্রেক, এটি বাইকটি চলমান অবস্থায় প্রয়োজনীয় যেকোনো পরিস্থিতিতে এটিকে থামিয়ে দেয়।

এছাড়া, সহজে ব্যবহারের জন্য এটিতে রয়েছে ‘সাইড স্ট্যান্ড ইনডিকেটর’এবং ‘ডিজি-অ্যানালগ ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার’, ট্রিপ মিটার এবং সার্ভিস রিমাইন্ডার। বাড়তি সুবিধা হিসেবে সেলফ-স্টার্ট বাটনে রয়েছে ‘ইঞ্জিন কিল’ ফিচারও।

বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও স্টাইল-

দ্য হাংক ১৫০আর এ রয়েছে বিশালাকার ফুয়েল ট্যাংক, এটির কারণে বাইকটি আরো আকর্ষণীয় দেখায়। আরো রয়েছে ভিন্নধর্মী  ‘রিয়ার কাউল’, ‘নেকড়ে-চোখা এলইডি পজিশন ল্যাম্প’ এর সমন্বয়ে চমৎকার হেডলাইট, সিগনেচার লাইড-গাইডসহ এলইডি টেইল-লাইট, যেটি অন্ধকারেও মোটরসাইকেলটির উপস্থিতি নিশ্চিত করে।

অধিকন্তু, বাইকের স্পোর্ট ডাইনামিক গ্রাফিক্সও এটির নির্ভুল সৌন্দর্য তুলে ধরে।‘দ্য হাংক ১৫০আর’এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট হলো  ‘ডাবল ডিস্ক’ এবং ‘ডাবল ডিস্ক উইথ সিঙ্গেল-চ্যানেল (ABS)’। গ্রাহকদের জন্য বাইকটি ৩টি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাবে স্পোর্টস রেড, ব্ল্যাক এবং টেকনো ব্ল।

হিরো মটরর্কপ লিঃ এর সংক্ষিপ্ত বিরবণ-

বিক্রয়ের সংখ্যায় গত ২০ বছর ধরে টানা শীর্ষস্থানে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল এবং স্কুটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিরো। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মোটরসাইকেল এবং স্কুটার বিক্রয় করেছে এবং বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার ৪০ টিরও বেশি দেশে তার পণ্য বিক্রি করছে।

হিরো মোটোকর্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ৮টি পরিবেশ বান্ধব মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যেকচারিং ফ্যাক্টরী রয়েছে। যার মধ্যে ভারতে ছয়টি, কলম্বিয়াতে একটি এবং বাংলাদেশে একটি এছাড়াও দুটি অত্যাধুনিক (R&D) সেন্টার রয়েছে, সেন্টার অফ ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (ICT) ভারতে এবং হিরো টেক সেন্টার (GmBH) জার্মানিতে। ফুটবল, ক্রিকেট গলফ ও ফিল্ড হকিতে স্পনসর হওয়ার পাশাপাশি মোটোস্পোর্টস সহ বড় বড় ঘরোয়া লিগের সাথে যুক্ত ছিল। (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)

Ad