আসছে সাজ্জাদ খানের ‘সাহস’

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : অবশেষে সকল অন্ধকার এবং বাধা কাটিয়ে আলোর মুখ দেখতে চলেছে সাজ্জাদ খানের পরিচালনায় আলোচিত এবং প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সাহস’। কিছু আপত্তিকর দৃশ্য ও সংলাপের কারণে গত জুনে ‘সাহস’ সিনেমাটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করেছিলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।

তবে সেসব দৃশ্য ও সংলাপ সংশোধন করে পুনরায় আপিল করার নির্দেশনাও দিয়ে চিঠি দেয় সেন্সর বোর্ড। পরবর্তীতে সেসব কিছু সংশোধন করে আবারো সেন্সরের জন্য পাঠানো হয় ‘সাহস’। নিজের পরিচালিত প্রথম সিনেমা এবার সেন্সর ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন সাজ্জাদ খান। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই আনন্দের খবরে পুরো টিমই উচ্ছ্বসিত।

খুলনার বাগেরহাটে শ্যুটিং শুরু হয়েছিলো এই ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটির। সাজ্জাদ খান জানিয়েছিলেন- ‘সাহস’ হচ্ছে সমাজে নারীদের সাহসিকতার গল্প। নারীদের শিকল ভাঙার গল্প, প্রতিবাদ করার গল্প। মফস্বলের নারীরাও যে অন্যায়কে রুখে দাঁড়াতে পারেন-তেমনি একটি গল্প ‘সাহস’-এ দেখতে পাবেন দর্শক।

‘সাহস’ সিনেমায় এই সময়ের আলোচিত এবং দক্ষ অভিনেত্রী অর্ষা কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার চরিত্রের নাম নীলা। বিপরীতে রয়েছেন এই সময়ের আরেক শক্তিশালী অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। গল্পে তার নাম রায়হান। মফস্বলের এক মধ্যবিত্ত স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে তাদের। এছাড়া মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, নাজিয়া হক অর্ষাসহ থিয়েটার রেপার্টরির ৩০ জনের বেশি তরুণ অভিনয়শিল্পীকে দেখা যাবে এই সিনেমায়।

সাজ্জাদ খান জানান- ‘আসলে গল্প এবং চরিত্রগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের দৃশ্য এবং সংলাপগুলো সাজানো হয়েছে। যেমন সিনেমার একটি চরিত্র হচ্ছে ধর্ষক। এখন যৌক্তিক কারণেই তার ভাষায় কিছু অশালীন সংলাপ রাখা হয়েছিলো যেটা গল্পের সঙ্গে যায়। এমন বেশ কিছু দৃশ্য ও সহিংসতা নতুন করে সম্পাদনা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সিনেমাটা আমরা আর জমা দিতে পারব না। এটি সব সময়ের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তা নয়। আশাকরি এই সংশয় কেটে গেছে নতুন ভাবে সকল কাজ কমপ্লিট করে সেন্সর আবেদনের জন্য জমা দেয়ার কারনে।

নবীন কিন্তু দক্ষ এই নির্মাতা আরো জানান, আমাদের সিনেমায় আমাদের দেশের গল্প বলতে হবে, আমাদের আশেপাশের গল্প বলতে হবে। তাহলেই দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহমুখী করা যাবে। আমি আমার জায়গা থেকে এই কাজটিই করতে চাচ্ছি। আশাকরি গল্প, নির্মান এবং অভিনয় দিয়ে ‘সাহস’ সবার মন জয় করবে। শুভ কামনা রইলো এই সময়ের এই নবীন কিন্তু সাহসী মানুষটির জন্য। বাংলা সিনেমার দিন বদলে ‘সাহস’ সিনেমাটি সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আলাদা একটা ভূমিকা রাখুক এই কামনা রইলো।

Ad