‘চরকি’তে খায়রুল বাসারের ‘বাঘের বাচ্চা’
আফজালুর ফেরদৌস রুমন : এই সময়ের প্রতিভাবান এবং আলোচিত অভিনেতা হিসেবে খায়রুল বাসার এক নির্ভরতার নাম। বেশকিছু জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত কাজে দূর্দান্ত অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নিজেকে এরই মাঝে প্রমাণ করেছেন তিনি। দিন দিন তার অভিনয় প্রতিভা এবং ব্যতিক্রমী কাজে উজ্জ্বল উপস্থিতি তাকে দর্শকদের কাছে ও জনপ্রিয় করার পাশাপাশি নির্মাতাদের কাছেও গ্রহনযোগ্য করে তুলছে। এবার তিনি হাজির হচ্ছেন গৌতম কৈরী পরিচালিত ডাকাতিয়া সিরিজের শর্টফিল্ম ‘বাঘের বাচ্চা’ নিয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘উড়ান’, ‘তুমি আরেকটি দিন থাকো’ এবং ‘যত্ন’ নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে কিছুদিন আগে ‘চরকি’তে রিলিজ পাওয়া মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ নামক ওয়েবফিল্মে মুন্না চরিত্রে রীতিমতো আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং প্রশংসা পাওয়া এই ওয়েবফিল্মে বেশকিছু নবীন এবং দক্ষ অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের সাথে সাথে খায়রুল বাসারও নিজ দক্ষতায় জ্বলে উঠেছেন।
তবে একটি দূর্ঘটনায় এই ওয়েবফিল্মের বেশ কয়েকজন তারকার সাথে তিনিও আহত হন। বর্তমানে নিজ বাড়িতে পুরোপুরি রেস্টে আছেন এই পরিশ্রমী এবং মেধাবী অভিনেতা। সুস্থ হয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে তবে এরই মধ্যে আগে শ্যুটিং হওয়া বেশকিছু কাজ রিলিজ পাচ্ছে এটাও তার ভক্তদের জন্য একটি আনন্দের খবর। আর এই ধারাবাহিকতায় ‘বাঘের বাচ্চা’ নিয়েও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এই কাজটি নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে খায়রুল বাসার নিজেও বেশ উচ্ছ্বসিত। আমাদের সবারই কিছুটা পরিচিত কিন্তু ব্যতিক্রমী গল্প, ভিন্নধর্মী নির্মান আর শক্তিশালী কিছু অভিনয় শিল্পীদের উপস্থিতি কাজটিকে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে।
খায়রুল বাসার জানান, এই কাজটি করে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট এবং প্রিয় অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করাটাও অনেক বড় আনন্দের একটা বিষয় আমার জন্য। সাথে আছেন সেতু ভাই ও দীপক সুমন ভাই। আর নির্মাতা গৌতম কৈরীর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। উনার পরিচালনায় ‘বাঘের বাচ্চা’ ছাড়াও ‘ফ্রেন্ডবুক’ সিরিজে অভিনয় করেছি আমি। তাই বোঝাপড়াটা দারুণ।
‘বাঘের বাচ্চা’র গল্প সম্পর্কে খায়রুল বাসার বলেন, ‘এটা চমক হিসেবেই থাকুক। তবে এটুকু বলতে পারি যে, গল্পটা আমাদের আশেপাশের পরিচিত নানা বিষয়কে কেন্দ্র করেই এটি নির্মিত হয়েছে। আর শ্যুটিং এর ক্ষেত্রে আরেকটি মজার যে ঘটনা ঘটেছে তা হলো ‘মহানগর’ সিরিজটি যেমন রাতেই শ্যুটিং করতে হয়েছে ‘বাঘের বাচ্চা’র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমরা সারারাত জেগে কাজটি করেছি গল্প এবং চিত্রনাট্যের চাহিদা অনুযায়ী। আশাকরি সবাই এই কাজটি পছন্দ করবে।
এদিকে, ১৬ই সেপ্টেম্বর রাতে ‘চরকি’তে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বাঘের বাচ্চা’ মুক্তি পেয়েছে।