‘পদ্মাপুরান’ এর অ্যানিমেশন টিজার

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবার কারনে আস্তে আস্তে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আসার কারনে অন্যান্য সেক্টরের মতো খুলেছে বা খোলার অপেক্ষায় আছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ এবং মুক্তির অপেক্ষায় কাজ শেষ হওয়া বেশকিছু সিনেমা। এরই মাঝে অন্যতম একটি সিনেমা ‘পদ্মাপুরান’।

পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবনের নানা গল্প নিয়ে নির্মিত এই ‘পদ্মাপুরান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রাশিদ পলাশ প্রথমবার নির্মাতা হিসেবে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্রে। যদিও সুত্রমতে ‘নাইওর’ তার নির্মিত প্রথম সিনেমা তবে যেহুতু সেটি এখনও মুক্তি পায়নি তাই ’পদ্মাপুরান’কেই বলা যাচ্ছে তার প্রথম চলচ্চিত্র।

অন্যদিকে বিনোদনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সামাজিক নানা বার্তা দেবার যে প্রচলন আগে ছিলো কিন্তু এখনকার সময়ে সেটা অমাবস্যার চাঁদ হলেও এই সিনেমার মাধ্যমে সেই বিষয়টাও ফিরিয়ে আনার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস করেছেন ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমার টিম। ফারাক্কা বাঁধের কারণে আমাদের দেশের নদী এবং নদীকে কেন্দ্র করা বসবাস করা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার নানা বাধা-বিপত্তি এবং তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের বিষয়গুলো এই সিনেমায় নান্দনিক ভাবেই তুলে ধরা হয়েছে।

সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাবার পরেই সিনেমাটি মুক্তির জন্য নানা ধাপ পার হবার পর জানান হয় আগামী ৮ই অক্টোবর সিনেমাটি সারাদেশে মুক্তি দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রমোশন বা প্রচারনার জন্য আজ রিলিজ দেয়া হয়েছে ‘পদ্মাপুরান’ এর অ্যানিমেশন টিজার। উল্লেখ্য এই প্রথমবার বাংলাদেশে সিনেমার অ্যানিমেশন টিজার প্রকাশিত হলো বলে জানা গেছে। ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের এই টিজারটি প্রকাশ হয় লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলে।

‘পদ্মাপুরান’ সিনেমাতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, প্রসূন আজাদ, শম্পা রেজা, সুমিত সেনগুপ্ত, জয়রাজ, কায়েস চৌধুরী, সূচনা শিকদার, রেশমী, হেদায়েত নান্নু, আশরাফুল আশিষ, সাদিয়া তানজিন প্রমুখ। এই সিনেমায় নিজের চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপনের জন্য অভিনেত্রী সাদিয়া মাহী তার পুরো চুল কেটে ফেলেছিলেন।

পরিচালক রাশিদ পলাশ জানিয়েছেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দেশেত দর্শকদের নতুন কিছু উপিহার দিতে। অনেকদিন পরে সিনেমা হলে গিয়ে দর্শকরা আমাদের দেশের সিনেমা দেখবে এটাই আমাদের আশা। পদ্মাপুরান আমাদের মাটি জল এবং মানুষের গল্প। আশাকরি কেউই হতাশ হবেনা। বছর দুই ধরেই সিনেমাটির শুটিং এবং অন্যান্য কাজ শেষ করেছে পুরো টিম। মানিকগঞ্জের পদ্মার চরে হয়েছিলো প্রতিকূল আবহাওয়া মাথায় নিয়েই সিনেমাটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।

আমাদের দেশের বা বলা ভালো আমাদের কিছুটা চেনা কিছুটা অজানা জীবনের এক মৌলিক গল্প, সেটির সাথে যুতসই চিত্রায়ণ, নির্মানে মুন্সিয়ানা এবং দক্ষ অভিনয় শিল্পীদের ভালো এবং ভিন্নধর্মী কিছু করার প্রচেস্টা নিয়ে ‘পদ্মাপুরান’ টিম তৈরী প্রেক্ষাগৃহে আসার জন্য। এবার সুস্থ ধারার ব্যতিক্রমী এই কাজটির মূল্যায়ন করার পালা দর্শকদের। ভালো হলো না মন্দ তা বোঝা যাবে সিনেমাটি দেখার পরে তবে তার আগে বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসার পদক্ষেপ যে নিতেই হচ্ছে আমাদের তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

Ad