‘মুন্সিগিরি’ ট্রেলারে বাজিমাৎ

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ্যে এলো অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় বহুল প্রতীক্ষিত ‘মুন্সিগিরি’ ওয়েবফিল্মের ট্রেলার। শিবব্রত বর্মণের লেখা ‘মৃতেরাও কথা বলে’ উপন্যাস অবলম্বনে এই ওয়েবফিল্মের ট্রেলারে দেখা মিলেছে দেশের বেশ কিছু শক্তিশালী এবং নান্দনিক অভিনয় শিল্পীদের। দেড় মিনিটের ট্রেলারে একটি হত্যা রহস্য এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনের টানাপোড়েনের ঝলক দেখা গেলো।

দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’ এর আগে শিবব্রত বর্মণের লেখা গল্প অবলম্বনে ‘ঊনলৌকিক’ নামের এক চমৎকার অ্যান্থ্যোলজিক্যাল সিরিজ উপহার দিয়েছে।

এবার সেই লেখকের ‘মৃতেরাও কথা বলে’ উপন্যাস অবলম্বনে এই ‘মুন্সিগিরি’ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ আরো বেশি৷ সাথে ‘আয়নাবাজি’র পরে দেশের অন্যতম গুনী নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং চঞ্চল চৌধুরীর কেমেস্ট্রি নিয়ে আলাদা একটা আগ্রহ তো ছিলোই৷ ট্রেলারে ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার ছাপ বেশ ভালোভাবেই রাখতে পেরেছে ‘মুন্সিগিরি’।

২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আয়নাবাজি’তে ড্রোন শটের মাধ্যমে সদরঘাট এলাকা সেলুলয়েডে নতুন ভাবে দেখেছিলাম আমরা। এবার এই ওয়েবফিল্মে অমিতাভ রেজার সেই সিগনেচার ড্রোন শটে নতুনভাবে দেখা মিললো তেজগাঁওয়ের।

ট্রেলারে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি খুনের রহস্য উন্মোচনের দায়িত্বে ডিবি গোয়েন্দা মাসুদ মুন্সী রূপে শক্তিশালী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মুগ্ধ করেছেন। আমাদের চেনা আরো দশজন ডিবি পুলিশের মতোই মনে হয়েছে তাকে। যার কিনা স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে সংসার এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে জীবন যাপন করছেন।

কাজের চাপে স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করা শবনম ফারিয়ার সাথে মাঝেমধ্যে মনোমালিন্যর বিষয়টিও এই স্বল্প সময়ের ট্রেলারে বিশ্বাসযোগ্য ভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। শবনম ফারিয়ার খাবার টেবিলে মোবাইল ছুড়ে ফেলা বা একটি উপন্যাসের লেখকের নাম ফোনে স্বামীকে জানানোর দৃশ্যই বলে দেয় ওয়েবফিল্মে তার চরিত্রটিও হেলাফেলার নয়।

অন্যদিকে খুন হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী রূপে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাও আলো কেড়েছেন এই ট্রেলারে। দীর্ঘদিন পর সেলুলয়েডে অভিনেত্রী পূর্ণিমার উপস্থিতিই মনোযোগ অনেকটা কাড়তে সক্ষম হয়েছে। একটি জেদী এবং স্বাধীনচেতা নারী সুরাইয়ার চরিত্রে তিনি কতোটুকু সফল হবেন তা বোঝা যাবে আগামী ৩০ তারিখে। তবে ট্রেলারে তার সৌন্দর্য্য এবং লুক ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

এছাড়াও ট্রেলারে শক্তিশালী অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত এবং আহসান হাবিব নাসিমকেও দেখা গেছে স্বল্প সময়ের জন্য। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর একটা সাসপেন্স ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

এবং সবশেষে নির্মাতা অমিতাভ রেজা সম্পর্কে একটু না বললেই নয় যে, ওটিটিতে আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে মাসুদ মুন্সী সামনে কতোটুকু মন জয় করতে পারবে তা সময়ই বলে দিবে তবে ভিন্নধর্মী এবং ব্যতিক্রমী এইরকম গল্প নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রশংসা তিনি আশা করতেই পারেন।

এবং ট্রেলারে পুরো ফিল্মের জন্য যে একটি অপেক্ষা ধরে রাখার ব্যাপার থাকা উচিত সেই জায়গায় পুরোপুরি সফল তিনি এবং তার টিম। শুভ কামনা রইলো পুরো ‘মুন্সিগিরি’ টিমের জন্য।

Ad