ভোজনরসিকদের নতুন ঠিকানা ‘তাজা বারবিকিউ হাউজ’

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : আগে একটা সময় ছিলো যখন মানুষ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বা আড্ডা দিতে কোনো পার্কে বা বিনোদন কেন্দ্র বা নদীর পাড়ে বেড়াতে যেতো এখন অনেক কিছু বদলে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের এই অভ্যাসটাও বদলে গেছে। এখন বন্ধুদের গেটটুগেদার হোক, বা আত্নীয়দের নিয়ে একটু বেড়াতে যাওয়া এই শহরে গন্তব্য একটাই সেটা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট বা ফুড হাউজ গুলো।

অবশ্য বর্তমান সময়ে পার্কে বা মাঠে ঘুরতে বা বসার মত পরিবেশ আছে নাকি সেটা আসলে অনেক বড় একটি প্রশ্ন বটে। প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা- সাক্ষাৎ,পুরনো বন্ধুদের সাথে গেটটুগেদার, পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খেতে যাওয়া কিংবা সারাদিনের ধকলের পর বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠার জন্য রেস্টুরেন্টের বর্তমান যে চাহিদা সেদিকে লক্ষ্য রেখে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।

তবে এটাও সত্য যে সব জায়গার সব রেস্টুরেন্ট যে মানসম্মত তেমনটা না হলেও এই শহরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে বিভিন্ন রকম খাবার নিয়ে নিত্যনতুন রেস্টুরেন্ট। এই তালিকায় নতুন সংযোজন ‘তাজা বারবিকিউ হাউজ’। গুলশান ২ নাম্বারের গুলশান নর্থ এভিনিউতে অস্ট্রেলীয়ান হাই কমিশনের বিপরীতে এই নতুন রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে শিগগিরই৷

রেস্টুরেন্টটির একজন স্বত্ত্বাধিকারী হারুন উর রশীদ জানান, এই সময়ে বেশ প্রতিযোগিতামূলক হলেই রেস্টুরেন্টে বিজনেস নিয়ে আমরা যখন সিদ্ধান্ত নেই তখনই একটা বিষয় মাথায় ছিলো যে, ভিন্নধর্মী এবং জনপ্রিয় কিছু আউটেম মান বজায় রেখেই ক্রেতা এবং ভোক্তাদের জন্য পরিবেশন করবো আমরা৷

সেই লক্ষ্য থেকেই সমস্ত বার-বি- কিউ আইটেমের সাথে আমাদের রেস্টুরেন্ট প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চারকোল চিকেন রোটিসেরি নিয়ে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় বিবিকিউ ফ্লেভার সহ নানা খাবারের সাথে এখানে পাওয়া যাবে বিশ্বমানের কফি, ল্যাটে, পেস্ট্রি এবং আরও অনেক মজাদার আইটেম।

হারুন উর রশীদ আরো জানান আমাদের সিগনেচার আইটেম হচ্ছে ফারুজ চিকেন, এটা চারকোল চিকেন রোটিসারির মেশিনে বানানো হয়। সারাবিশ্বেই এই আইটেমটি অন্যতম সেরা স্বাদের বিবিকিউ আইটেম হিসেবে জনপ্রিয়। আশাকরি বাংলাদেশের ভোজনরসিকদের কাছেও এই আইটেমটি জনপ্রিয়তা পাবে৷

এই ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাটের যুগে রেস্টুরেন্টে গিয়ে একটু ‘ফুডোগ্রাফি’ আর ‘ফটোগ্রাফি’ বিষয়টিও এখন খুবই পরিচিত। তাই ভোক্তা বা কাস্টোমারদের আর্কষন করার জন্য প্রতিটি রেস্টুরেন্টেই তাদের ইন্টেরিয়র ডিজাইনে নতুনত্ব এবং ভিন্নতা নিয়েই হাজির হয়। ‘তাজা বারবিকিউ হাউজ’ ও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই নজরকাড়া ইন্টেরিয়র ডিজাইন দিয়েই সাজানো হয়েছে এই নতুন রেস্টুরেন্টটি৷

ভোজনরসিক মানুষের পাশাপাশি অনেকেই আছেন যারা মজাদার নিত্যনতুন আইটেম চেখে দেখার ইচ্ছা থেকে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তেও চলেও যান। অনেকের কাছে নতুন নতুন খাবার খাওয়া তাদের শখ। আবার কিছু মানুষ এমন আছে যাদের কাছে খাবার একটি শিল্প। যেটা অনেক আগে থেকেই চর্চা হয়ে আসছে।

আবার অনেকের কাছে খাবার ভালোবাসার একটি বিষয়। সুতরাং আপনি যদি এমন কেউ হয়ে থাকেন যিনি নতুন টেস্টের খাবার খেতে ভালবাসেন এবং প্রচন্ড খাদ্যবিলাসী তাহলে নিঃসন্দেহে গুলশানের এই নতুন রেস্টুরেন্টটি আপনার নেক্সট ডেস্টিনেশন। আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারিতে ‘তাজা বারবিকিউ হাউজ’ নামের রেস্টুরেন্টটি সবার জন্য ওপেন করে দেয়া হবে বলে জানা গেছে৷

Ad