কমপ্লিট প্যাকেজ অব বানিজ্যিক সিনেমার নায়িকা

আফজালুর ফেরদৌস রুমন 

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হিসেবে অনেকের আগমন ঘটলেও তেমনভাবে সম্ভাবনা বা আস্থা রাখা যায় এমন মুখের দেখা মিলছে খুবই কম। আর সেই কম সংখ্যার মধ্যে সম্প্রতি সাড়া জাগানো একটি নাম নিঃসন্দেহে সাদিয়া নাবিলা। গত ১৩ তারিখ রিলিজ পাওয়া সানী সানোয়ার এবং ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত ‘ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ২’ সিনেমার যে কয়টি পজিটিভ বিষয় সাধারণ দর্শকদের নজর কেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নায়িকা হিসেবে কমপ্লিট প্যাকেজের ঝলক দেখানো এই চিত্রনায়িকা সাদিয়া নাবিলা।

গ্রামীণফোনের একটি টিভিসি দিয়ে মিডিয়াতে জার্নি শুরু করেন সাদিয়া। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার কারনে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। গত ১১ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছেন হালের এই সেনসেশন। সেখানকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাই তাকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসে। বলিউড সিনেমা ‘পেরেশান পারিন্দা’ দিয়ে নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে সাদিয়ার। এরপরেই মিশন এক্সট্রিম টিম থেকে এই সিনেমায় অভিনয়ের অফার পান। এরপরের গল্পটা সবারই জানা।

অস্ট্রেলিয়ায় মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হবার চেয়ে ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা জানিয়েছেন বেশকটি ইন্টারভিউতে। যারাই ‘ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম-২’ দেখেছেন তারাই পুলিশ অফিসার ইরা চরিত্রে সাদিয়া নাবিলার অভিনয়, ফিটনেস, বডি ল্যাংগুয়েজ, চোখের অভিব্যক্তি, মানানসই লুক, গ্ল্যামার, অ্যাকশনদৃশ্যে পারদর্শীতা নিয়ে প্রশংসা জানিয়েছেন।

ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে সাদিয়া নাবিলার মতো শিক্ষিত এবং কমপ্লিট প্যাকেজের অভিনেত্রী আরো আসা দরকার। কারন বানিজ্যিক সিনেমার একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী হিসেবে এই নবীন কিন্তু দক্ষ অভিনেত্রী তার উপস্থিতি দিয়ে জানান দিয়েছেন তিনি সুযোগ পেলে ঠিকঠাক গল্প, চিত্রনাট্য এবং মেকিং মুন্সিয়ানার কম্বিনেশনে রূপালী পর্দায় মন্ত্রমুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখেন। কোয়ান্টিটির থেকে কোয়ালিটিতে বিশ্বাস রেখে সাদিয়া নাবিলা নিয়মিতভাবেই ভিন্নধর্মী গল্পের সিনেমায় কাজ করে যাবেন এটাই কামনা।

 

Ad