মনির আহমেদ শাকিল – সারপ্রাইজ পারফর্মার অব ‘ফ্রাইডে’
আফজালুর ফেরদৌস রুমন
গত শুক্রবার বিঞ্জে রিলিজ পাওয়া ওয়েবফিল্ম ‘ফ্রাইডে’ আলোচনায় আসার অন্যতম বড় কারন এই ওয়েবফিল্মে প্রতিটি চরিত্রের সফল স্ক্রিন প্রেজেন্স। শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে কমবেশি প্রতিটি চরিত্রই আলোচনায় জায়গা পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তমা মির্জা, নাসির উদ্দিন খান, ফারজানা ছবি বা নীলাঞ্জনা নীল তাদের সপ্রতিভ উপস্থিতি দিয়ে প্রশংসা এবং আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে। তবে যারাই ওয়েবফিল্মটি দেখেছেন তাদের কাছে সারপ্রাইজ হিসেবে হাজির হয়েছেন মনির আহমেদ শাকিল। বাড়িওয়ালা চরিত্রে তিনটি আলাদা সময়ের পারফরম্যান্সে তিনি অনবদ্য সুন্দর অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন যা এককথায় প্রশংসার দাবিদার।
হঠাৎ করে দুই কন্যা সন্তানকে ঘাড়ে চাপিয়ে বিদেশে উধাও হওয়া স্বামীকে হারিয়ে যখন নিম্নবিত্ত এক তরুনী মা বিপদে পড়ে সবদিকে অন্ধকার দেখছে তখন সুযোগ পেয়ে তাকে ভোগ করা তরুন বয়সের অসৎ চরিত্রের বাড়িওয়ালার চরিত্রে তিনি সাবলীল উপস্থিতি দিয়ে মোটামুটি চমকে দিয়েছেন সবাইকে। এরপরে প্রায় মধ্য বয়সে তার বীভৎসতা এবং নিজের মেয়ের বয়সী এক তরুনীকে নির্যাতনের সময়টায় তার অভিনয় এতোটাই প্রভাবিত করে আমাদের যে তার প্রতি রাগ এবং ক্ষোভ আসে খুব সহজেই। আবার শেষ বয়সে প্যারালাইসিস অবস্থায় সেই পরিবারের দয়ায় বেচে থাকা ছাড়া উপায় না থাকা বৃদ্ধের চরিত্রেও ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। এক্ষেত্রে অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি প্রশংসা জানাতে হয় তার মেকাপ এবং কস্টিউম যে বা যারা করেছেন তাদেরকে।
যদি ভুল না করি এর আগে আরেকটি নান্দনিক চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রজার দেশে’ তে মনির আহমেদ শাকিল তার অভিনয় দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে যতোটা ভিন্নধর্মী কাজে দেখতে পাওয়ার কথা ছিলো আমরা সেটা পাইনি। অনেক শক্তিশালী অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা যথাযথ সুযোগ পাননা বলে যে কথাটি প্রায়ই আমাদের কানে আসে বা আমরা দেখি সেই কথা পুরোপুরি খেটে যায় এই গুণী অভিনেতার ক্ষেত্রে। ওটিটির কল্যানে অল্পবিস্তর সেই আক্ষেপের জায়গা ঘুচেছে এটা সত্য তবে মনির আহমেদ শাকিলের মতো দক্ষ এবং শক্তিশালী অভিনেতারা সামনের দিনে নিজেদের সেরাটা নিয়ে হাজির হবার সুযোগ পাবেন ভিন্নধর্মী এবং ব্যতিক্রমী কনটেন্টে সেই প্রত্যাশাও রইলো।