নিউইয়র্কের দুই খ্যাতনামা ফ্যাশন শোয়ে নিবিড় আদনান নাহিদ
আফজালুর ফেরদৌস রুমন
বেশ লম্বা সময় ধরেই বাংলাদেশের মডেলিং জগতে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত একটি নাম নিবিড় আদনান নাহিদ। দেশের নামকরা সকল নামীদামী ব্র্যান্ড এবং প্রতিষ্ঠানের মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি নিয়মিতভাবে। নিজের দক্ষতা এবং মেধার জোরে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এর আগেওআন্তর্জাতিক পর্যায়ে মডেল হিসেবে নিজের ছাপ রাখা এই সুদর্শন তরুণ নতুন করে আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের দুইটি জনপ্রিয় ফ্যাশন শোয়ে অংশগ্রহণ করে।
যারা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অল্প-বিস্তর জ্ঞান রাখেন তারা বেশ ভালোভাবেই জানেন যে, বিশ্বের অন্যতম ফ্যাশন রাজধানীর একটি নিউইয়র্ক। এই শোয়ে অনুষ্ঠিত ফ্যাশন উইকগুলোতে মডেলরা তুলে ধরেন বিশ্বের সব বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডের নতুন সংগ্রহ। এবারের এই নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে মডেল হিসেবে র্যাম্পে হেটেছেন বাংলাদেশের মডেল নিবিড় আদনান নাহিদ। নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের পরপরই অনুষ্ঠিত কতুর ফ্যাশন উইকেও হেঁটেছেন এই জনপ্রিয় মডেল।
গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি শোয়ে একানেম আর্চিবং ও ইনগা কোভালেরোভা জুটির ডিজাইন করা পোশাকে মঞ্চে দেখা গেছে নাহিদকে। এরপরে গত ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় নিউইয়র্ক কতুর ফ্যাশন উইক। এই উইকে ১৪ই সেপ্টেম্বরে ডিজাইনার মজিদ লোদির ফিউশনধর্মী পোশাক পরে র্যাম্প মাতিয়েছেন নিবিড়।
এমন দুটি জনপ্রিয় শোয়ে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নাহিদ জানান, ঐতিহ্য ও হাই ফ্যাশনের ফিউশনে ডিজাইন করা পোশাকের মাধ্যমে দেশি সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেছেন তিনি। দেশি সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এমন প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অংশ নিতে পেরে গর্বিত বাংলাদেশি এই মডেল। নিউইয়র্কের দুটি ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, ‘এটা একান্তই আমার নিজের চেষ্টা থেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গ্রুপগুলোতে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক সম্পর্কে সব ধরনের খোঁজ রাখছিলাম। সেখান থেকেই জানতে পারি ফ্যাশন উইকের জন্য মডেল বাছাইয়ের খবর। এরপর নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব তথ্য মেইল করি। তারপর নির্দিষ্ট কিছু ধাপে নির্বাচিত হই ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণের জন্য।’
আস্তেধীরে হলেও একটু একটু করে এভাবেই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ছাপ রাখাটা বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বের নামকরা সব ফ্যাশন উৎসবে অংশ নিচ্ছে আমাদের বাংলাদেশি ডিজাইনার ও মডেলরা এটা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশাল কিছুর সম্ভাবনা।