শুভ জন্মদিন ফ্যাশন ডিজাইনার নাহরীন চৌধুরী
নাহরীন চৌধুরী। এ প্রজন্মের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার। আজ তার জন্মদিন। এসকে মিডিয়ার পক্ষ থেকে ফ্যাশন ডিজাইনারকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অনেক শুভ কামনা। আজ এই বিশেষ দিনে সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে নাহরীন চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই।
এবারের জন্মদিন ঘিরে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি ঘরোয়াভাবেই জন্মদিন পালন করেছেন বলে এসকে মিডিয়াকে জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিনটি হল তার জন্মদিন। প্রত্যেকটি মানুষকে এই দিনটিতে খুশি থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে আমার জন্মদিনটি সবসময়ই মনে হয়েছে এটি একদম আমার নিজের একটি দিন। সাধারণত আমি একটু হাসিখুসি থাকতেই পছন্দ করি, ওই হিসেবে আমি আমার জীবনের কোনো মুহূর্তকে কোন কিছুর কারনে নষ্ট হতে দিতে চাইনা।’
ছোটবেলার জন্মদিন প্রসঙ্গে নাহরীন চৌধুরী বলেন, ‘ছোটবেলার জন্মদিনের আনন্দটা আমার কাছে যেমন ছিল, আনন্দটা একই রকম আছে। হয়তো উদযাপন করার ধরণটা পাল্টে গেছে, কিন্তু আনন্দ একই আছে। আগে হয়তো শুধু আত্মীয়-স্বজন তারপর আস্তে আস্তে বন্ধুদের নিয়েও জন্মদিন উদযাপন করা হতো, এখন হয়তো সহকর্মীদের সাথে পরিবারের সাথে কিছু বন্ধুর সাথে উদযাপন করা হয়।’
এবারের জন্মদিনের প্রাপ্তি কী? জানতে চাইলে নাহরীন চৌধুরী বলেন, ‘এবারের জন্মদিনে রাত বারটায় আমার ছোট্ট পরী, মানে আমার মেয়ে আমাকে সারপ্রাইজ করল, তার নিজের ডিজাইন করার ছোট্ট একটি কেক, নিজের হাতে তৈরি কার্ড। পরিবারের সবাই এবং সব কাছের মানুষ মানুষরা উইশ করলো। অনেককেই দেখা করতে চেয়েও এই করোনাকালীন সময়ের কারণে দেখা করতে পারল না। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও আমার অফিসের সহকর্মীরা আমাকে খুব সুন্দর ভাবে উইশ করলো। রাতে আমার বাবার বাসায় আমার জন্মদিন উদযাপন করা হল। আসলে এই ছোট ছোট ভালোবাসাগুলো আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের এই ভালোবাসা অথবা আমাকে খুশি করার চেষ্টা সত্যিই আমাকে খুব মুগ্ধ করে। অনেক মানুষ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও এ ভালোবাসাটুকু কিনতে পারে না, আমি তাদের প্রত্যেকের কাছে এবং আল্লাহর কাছে খুবই কৃতজ্ঞ যে আমি এই ভালোবাসাটুকু পাওয়ার যোগ্যতা রেখেছি। আমি একবার শুনেছিলাম মানুষ নাকি মুহূর্তে বাঁচে অর্থাৎ স্মৃতিতে বাঁচে, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার জীবনে এত সুন্দর সুন্দর স্মৃতি দেয়ার জন্য।’
উল্লেখ, তিনি খুব অল্প সময়েই অসাধারণ কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফ্যাশন জগতে গড়ে নিয়েছেন নিজের শক্ত অবস্থান। একের পর এক নতুন ডিজাইনা দিয়েই ফ্যাশন হাউস ও ক্রেতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ওকোড এনার্জিপ্যাকের হেড অব ইনোভেশন হিসেবে কর্মরত আছেন।