হাওড়ে নারীদের কর্মসংস্থানের নতুন আশার নাম ‘ঝুমকা বাংলাদেশ’

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে সারা বিশ্ব যখন স্থবিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, অনেকেই কাজ না পেয়ে এক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছেন৷ এমন সময় সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষ প্রশিক্ষকদ্বারা ঝুমকা বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রশিক্ষণার্থীদের বিনামূল্যে থাকা খাওয়াসহ লেভেল ওয়ানের আওতায় ( ইজার প্যান্ট, মেক্সি, সেলোয়ার-কামিজ, পেটিকোট, ছয় কাট চুরিদার, ফতোয়া, পাঞ্জাবী, কটি ও সেলাই ) প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

যার মাধ্যমে হাওরের সুবিধা বঞ্চিত এলাকার নারীরা সামান্য হলেও নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সাবলম্বী হিসেবে নিজের পায়ে দাড়াতে পারে। ঝুমকা বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছর ধরেই সামাজিক নানা কাজে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়ে নিম্ন শ্রেনীর মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে।

নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাম্মনবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত ১৯৫০ জন মেয়েদের পর্যায়ক্রমে ট্রেনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশিক্ষনের শেষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিক্ষা গ্রহন এবং কৃতকার্যদের ৫ বছর মেয়াদি সনদ প্রদানের পর ঝুমকা বাংলাদেশ গার্মেন্টসে চাকুরির ব্যাবস্থাসহ কর্মসংস্থান ও ব্যাংকের মাধ্যমে ঋনের ব্যাবস্থাও করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোণাস্থ সাকুয়া বাজার সংলগ্ন গন্দব্যপুরে অবস্থিত ঝুমকা টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ৪০ জন মেয়েকে সেলাই কাজের উপর প্রশিক্ষন কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়। সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের আত্নকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বরাবরই নানা রকম উদ্যোগ নিচ্ছে ঝুমকা বাংলাদেশ।

বিশেষ করে হাওড় অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মেয়ে বা নারীদের আত্নকর্মসংস্থানের লক্ষে(এলজিইডি)এর (হিলিপ) প্রজেক্টের সহযোগিতায় ইফাদের অর্থায়নে ঝুমকা বাংলাদেশ ৪৫ দিনব্যাপী (টিডিএম) টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং ট্রেনিং প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। যা ইতিমধ্যে প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই অনুষ্ঠানে ডিপিসি, হিলিপ -এলজিইডি নেত্রকোণা জয়শ্রী দেবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক গোপাল চন্দ্র সরকার, বিশেষ অতিথি কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আমিরুজ্জামান, ঝুমকা বাংলাদেশর পরিচালক জনাব, জাহেদুর রহমান রিপন ও নির্বাহী পরিচালক শারমিন কবির বীনাসহ অন্যান্যরা।

এই ট্রেনিংয়ের মুল উদ্দেশ্য সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের মধ্য হতে উদ্যোক্তা তৈরি ও আত্নকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা বলেই জানিয়েছে ঝুমকা বাংলাদেশ। এই লক্ষ্যে ঝুমকা বাংলাদেশ ট্রেনিং শেষে ঢাকা ডাচ বাংলা টেক্সটাইলে অনেক মেয়ের চাকরির ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে, এছাড়া নিজস্ব ব্যবসা বা কর্মসংস্থান গড়ার লক্ষ্যে অল্প সুদে ব্যাংক থেকে লোন নেবার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে যা হাওড় অঞ্চলের নারীদের জন্য সম্ভবনার এক নতুন দিক উন্মোচন করছে।

Ad