দেড় বছর বয়সেই ক্যামেরার সামনে নীর

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : যেকোনো বাবারই স্বপ্ন থাকে তার সন্তান তার দেখানো পথেই নিজের মতো করে সফলতা অর্জন করবে। তবে সেটা অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট সময় বা বয়সের পরে। তবে যদি শৈশবেই কোনো শিশু সন্তান তার বাবার ভালোবাসা বা শখের জায়গায় নিজেও যুক্ত হয়ে যায় সেটা তার বাবার জন্য অত্যন্ত আনন্দ এবং গর্বের বিষয়। এমনই এক আনন্দ এবং ভালোলাগার মূহুর্ত কাটাচ্ছেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় এবং আলোচিত মুখ মৃদুল হাসান হৃদয়।

প্রাইভেট একটি কোম্পানিতে চাকরি করার পাশাপাশি সঞ্চালনা, মডেলিং এবং অভিনয় বিনোদনের অনেকগুলো মাধ্যমেই নিজের দক্ষতা এবং ভালোবাসা দিয়ে আলাদা একটা স্বতন্ত্রতা দেখিয়েছেন হৃদয়। এই সময়ের অন্যতম আলোচিত এই অভিনেতার এক বছর সাত মাস বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তান মানজার হাসান নীর সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন। অত্যন্ত সাবলীলভাবে এই ছোট্ট শিশুটি তার অংশের শ্যুটিং সম্পন্ন করেছে ইতিমধ্যে।

শাহ সিমেন্টের একটি সামাজিক সচেতনতা ভিত্তিক ড্রামায় কাষ্টিং ডিরেক্টর জিয়াউল করিম জিয়ার কাছ থেকেই হঠাৎ করে একটি বাচ্চার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য অফারটা আসে। এই স্যোসাল ড্রামায় সাবেরী আলম, আজম খান, মাইমুনা ফেরদৌস মমো, মারিয়া রহমান, তাসিন আভা এবং বাবা মৃদুল হাসান হৃদয়ের সাথে মানজার হাসান অসাধারন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

বাবা হিসাবে নিজের অনুভূতি জানাতে যেয়ে হৃদয় জানান, পরিচালক বা পুরো ইউনিট তো বটেই বাবা হিসেবে আমি, আমার স্ত্রী সবাই অবাক হয়ে গেছি নীরের সাবলীলতা দেখে। ক্যামেরার সামনে এই ছোট্ট নীর যে এতো সহজ এবং স্বাভাবিকভাবে নিজের কাজটা করে দিয়েছে আমি বাবা হিসাবে আমি অভিভূত এবং আনন্দিত। সবার সহযোগিতা এবং ভালোবাসা পেলে নীর সামনেও কাজ করবে এটাই আশা করি।

উল্লেখ্য, প্রযোজনা সংস্থা বোল্ট স্টুডিও এর ব্যানারে এই সামাজিক সচেতনতা ড্রামা পরিচালনা করেছেন মৌসুমী আখতার। ক্যামেরায় ছিলেন আলী। প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন তৌহিদ আরিফ। দীপ্ত টেলিভিশনের অফিসেই শ্যুটিং সম্পন্ন হওয়া শাহ সিমেন্টের এই সামাজিক সচেতনতা মূলক ড্রামাটা শিগগিরই রিলিজ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

Ad