অনির্বাণ-মধুরিমার প্রেম হতে পরিনয়

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : অবশেষে দীর্ঘদিনের প্রেম পরিণয়ে রুপ নিয়েছে। থিয়েটারের সূত্রে আলাপ হওয়া বান্ধবী মধুরিমা গোস্বামীকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। হত বৃহস্পতিবার ঘরোয়া অনুষ্ঠানে চার হাত এক হয় অনির্বাণ-মধুরিমার।

রেজিস্ট্রি এবং সিঁদুরদানের মাধ্যমে বান্ধবী মধুরিমার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করলেন তারা। সল্টলেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটে করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের আয়োজন।

যদিও বিয়েটা আগেই সেরে ফেলার কথা ছিল অনির্বাণের। কিন্তু করোনা মহামারীর কারনে সেটি পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক পরিনয়ে বদলে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অনির্বান। বিয়ের দিন বর-কনে উভয়ের পোশাকই ছিল লাল।

মধুরিমা যেখানে লাল সিল্কে সেজে উঠেছিলেন সেখানে অনির্বাণের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি। বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সামনে আসতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসতে শুরু করেন নবদম্পতি।

গতকাল রিসেপশনে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সাদা পাঞ্জাবি, চোস্ত পায়জামা এবং সাথে ঘন নীল চাদরে অনির্বাণ বনেদি লুকে যেমন মুগ্ধ করেছেন সাথে মিষ্টি ধুসর আর হলুদ মেশানো ডিজাইনার শাড়িতে মধুরীমাও অন্যন্য। বিয়ের দিনের ছবি নিয়ে যাবতীয় ট্রোল ফুৎকারে উড়িয়ে নবদম্পতি হাসিমুখে পোজ দিয়ে আবদার মিটিয়েছেন কলকাতার বিনোদন সাংবাদিকদের।

মধুরিমা গোস্বামী অনির্বাণের দীর্ঘদিনের বান্ধবী। মঞ্চ নাটকের সূত্র ধরেই মধুরিমার সঙ্গে অনির্বাণের আলাপ। অনির্বাণের মতোই মধুরিমার বেড়ে ওঠা একেবারে সাংস্কৃতিক আবহে। তাঁর বাবা পদ্মশ্রীখ‌্যাত মূকাভিনয় শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামী। মধুরিমার পড়াশোনাও থিয়েটার নিয়ে। অনির্বাণের মতোই তিনিও সমাজ ও রাজনীতি সচেতন মানুষ। দু’জনেই যেহেতু সংস্কৃতি জগতের, ফলে প্রথম থেকেই মনের মিল ছিল।

বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো রিসেপশনেও খুব কাছের মানুষ নিয়েই অনুষ্ঠান করেছেন অনির্বাণ-মধুরিমা। সব মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা ছিলো দেড়শো জনের মতো। মিথিলাকে সাথে নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনুপম রায়, সোহিনী সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, মেন্টর থেকে বন্ধু হয়ে সহকর্মী সবাই উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য-মধুরিমা গোস্বামীর ছিমছাম ঘরোয়া রিসেপশনে। শুভ কামনা রইলো নবদম্পতির জন্য।

Ad