গত বছরের সেরা নির্মাতা আশফাক নিপুন

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : নাটক বা সিনেমার মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ গল্প বলেন, আবার কেউ গল্প দেখান, কিন্তু আশফাক নিপুন তার নির্মানের মুন্সিয়ানা দিয়ে আমাদের খুব সহজেই গল্পের ভেতরে নিয়ে যান। এই যাওয়াটা যেনো একটা জার্নি, যে জার্নিটা আমাদের পরিচিত, খুব চেনা, কিন্তু কেনো যেন কখনো সেভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখা হয়নি।

তাই হয়তো ভালোলাগার পরিমানটা অনেক বেশি কাজ করে। কারন এই নতুনভাবে দেখাটাই আমাদের অন্যরকম আনন্দ দেয়, ভিন্ন অনুভূতি এনে দেয়। নির্মাতার স্বার্থকতা বা দক্ষতা মনে হয় একেই বলা হয়। আর এই সুত্রে তিনি শতভাগ সফল। বিশেষ করে তার বিগত কিছু কাজ তো অসাধারন মাত্রা যোগ করেছে৷

এই সময়ে বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে যে কয়জন নির্মাতা তাদের ভিন্নধর্মী কাজ নিয়ে দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তাদের মধ্যে আলোচিত একটি নাম আশফাক নিপুন। নির্মানের মুন্সিয়ানা, ভিন্নধর্মী কিন্তু বাস্তবতার আলোকে লেখা কনটেন্ট যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার নানা দিক অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে তুলে নিয়ে আসা আমাদেরই সামনে এবং দেশসেরা গুনী এবং দক্ষ অভিনয় শিল্পীদের চেনা ছকের বাইরে এনে অন্যভাবে তুলে ধরা- এসব নানা কারনেই তার নাটক বা টেলিফিল্ম নিয়ে সবার মধ্যেই আলাদা একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।

গতবছর করোনা পরিস্থিতির কারনে নাটকের শ্যুটিং বা প্রচারিত নাটকের সংখ্যা কম থাকলেও গতানুগতিকের বাইরে এসে বেশকিছু ভিন্নধর্মী নাটক দেখতে পেরেছি আমরা। যেকয়জন দক্ষ নির্মাতা এই সময়ের বদলে যাওয়া দর্শকদের বিনোদনের চাহিদা পূরন করার জন্য নান্দনিক বেশকিছু ফিকশন নিয়ে হাজির হয়েছেন তাদের মধ্যে শীর্ষে থাকবেন আশফাক নিপুন। তার পরিচালিত চারটি কনটেন্ট ব্যাপক জনপ্রিয়তা যেমন পেয়েছে তেমনি প্রশংসাও কুড়িয়েছে। বলা যায় গত বছর নির্মাতা হিসেবে প্রতিটা কাজ দিয়েই ছক্কা হাকিয়েছেন এই নান্দনিক নির্মাতা৷

ইউটিউব, অনলাইন নানা প্ল্যাটফর্ম এবং ভিউর ভিত্তিতে জনপ্রিয়তা পরিমাপ করার এই অস্থির সময়ে অনেকটাই বেসামাল পরিস্থিতি পার করছে আমাদের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। ইন্টারনেট এবং হাতের রিমোটের কল্যানে এখন চোখের পলক ফেলার আগেই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যেকোনো কনটেন্ট দেখার সুযোগ আমাদের হাতের মুঠোয়।

তাই অবাধ সংস্কৃতির যুগে দর্শকদের পালস বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। জনপ্রিয় তারকাদের উপস্থিতির কারনে ভিউয়ার হয়তো বাড়ানো যায় তবে নতুনত্ব বা ভিন্নতা নিয়েই মানসম্পন্ন এবং স্বতন্ত্র কাজ সবসময়ই আলোচনা এবং প্রশংসা কুড়ায় যা যুগের পর যুগ বাচিয়ে রাখে শিল্পীদের। বিগত কয়েক বছর ধরেই নিজের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত কাজ উপহার দিচ্ছেন এই মেধাবী নির্মাতা।

সমাজের নানা অসঙ্গতি বা সমস্যা যা আমাদের খুব পরিচিত সেসব বিষয় অসাধারন নৈপুণ্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আশফাক নিপুন। রোমান্টিক নাটকের জোয়ারের মাঝেও তার নাটকে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, গুজব এবং সমাজে তার প্রভাব, প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুম ইত্যাদি নানা বিষয় উঠে এসেছে। গৎবাধা গল্পের বাইরে এসে তার এই অকুতোভয় এবং দুঃসাহসী পদক্ষেপ তাকে অন্য সব নির্মাতাদের থেকে আলাদা করেছে অনায়াসেই।

চট্রগ্রামে বড় হলেও, নাট্যজগত নিয়ে বরাবরই আগ্রহী ছিলেন। নির্মাতা হিসেবে কাজ করার ইচ্ছাই একটা সময়ে ঢাকায় নিয়ে আসে তাকে। বাংলাদেশের নন্দিত এবং গুনী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবিয়ালের মাধ্যমেই নাট্যনির্মাণে এসেছেন আশফাক নিপুণ। তিনি প্রথমবার আলোচনায় আসেন তাহসান এবং মিথিলা জুটিকে নিয়ে নির্মিত নাটক ‘মধুরেণ সপায়েৎ’ এর মাধ্যমে। বিজ্ঞাপন এবং সেসময় বাস্তবজীবনের এই জনপ্রিয় জুটির প্রথম নাটক এটি। আশফাক নিপুনের পরিচালনা, একটু ভিন্ন কনটেন্ট এবং তাহসান- মিথিলা জুটি সব মিলিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল নাটকটি৷

এরপর এই ত্রয়ী ‘সুখের ছাড়পত্র’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলিতে প্রেম’, ‘সে এবং সে’ এর মত জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন। গায়ক পার্থ বড়ুয়া ও দক্ষ অভিনেত্রী অপি করিমকে নিয়ে ‘খুঁটিনাটি খুনসুঁটি’, ‘অবাক ভালোবাসা’ নাটক নির্মাণ করে আশফাক নিপুন প্রমান করেন তিনি শুধু ভালো পরিচালকই নন সাথে সাথে বাংলা নাটকে দর্শকপ্রিয় জুটি বানাতেও পারদর্শী৷ সেসময় পার্থ বড়ুয়া এবং অপি করিমের জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে নাটক প্রেমীদের কাছে।

টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি তাহসান এবং তিশাকে নিয়ে অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন আশফাক নিপুন। ‘পথের মাঝে গল্প’, ‘শুনতে কি পাও’ বা সাম্প্রতিক ‘মুখ ও মুখোশের গল্প’ অন্যতম। আশফাক নিপুনের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘মুকিম ব্রাদার্স’ নাটকটি অসাধারন জনপ্রিয়তা লাভ করে। এসব নাটক এবং তার নির্মাণের মুন্সীয়ানা দিয়ে টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ শক্ত জায়গা তৈরী করতে সক্ষম হন তিনি।

এছাড়া ২০১৪ সালে শখ, আবির এবং ইরেশ যাকেরকে নিয়ে নির্মিত কমেডি ঘরানার ‘আল্পনা কাজল’ নাটকটি প্রশংসা পায়। তিশা এবং আবিরকে নিয়ে ‘রেইনবো’ নাটকটি সাহসী বক্তব্য নিয়ে হাজির হলে চমকে যান অনেকেই। তবে আশফাক নিপুন সাহসী নির্মাতা হিসেবেই নিজের কাজটি করেছেন সুনিপুণ ভাবে। পরবর্তীতে অবশ্য নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

২০১৭ সালে ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ এবং ‘ছবিয়াল রিইউনিয়ন’ নামে একটি উৎসব হয়েছিল, এই উৎসবে আশফাক নিপুন একমাত্র নির্মাতা যার পরিচালিত দুটি নাটক দুইটি উৎসবেই জায়গা পেয়েছিলো। আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজে ‘দ্বন্ধ সমাস’ নাটকটি নির্মান করে প্রশংসা অর্জন করেন এবং আলোচনায় আসেন তিনি। এই নাটকের জন্য প্রথমবারের মত নির্মাতা হিসেবে দেশের জনপ্রিয় ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ জিতে নেন তিনি।

২০১৮ সালে সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে তার পরিচালনায় তিনটি নাটক ‘সোনালি ডানার চিল’, ‘ফেরার পথ নেই’, ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ’ প্রশংসা এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছিল দর্শকদের কাছ থেকে। পাশাপাশি হালকা মেজাজের রোমান্টিক নাটক ‘লায়লা, তুমি কি আমাকে মিস করো’ নামক নাটক উপহার দিয়ে প্রমান করেছিলেন তিনি সব ধরনের সাবজেক্ট নিয়েই কাজ করতে পারদর্শী।

নাটকে অনিয়মিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম কে নিয়ে ২০১৯ সালে ঈদে অসাধারন প্রেজেন্টেশনের ‘মিস শিউলি’ নামক টেলিফিল্মটি তাকে নতুন করে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এই বছরেই অন্য আরেকটি নাটকে এই প্রজন্মের সামাজিক অবক্ষয় এবং ধর্ষণের বিষয়বস্তু নিয়ে ‘আগন্তুক’ সাড়া ফেলে। সমাজে গুজব এবং তার প্রভাব নিয়ে নির্মিত ‘এই শহরে’ নাটকটি আশফাক নিপুনকে নিয়ে যায় এক ভিন্ন উচ্চতায়।

গত বছর ভালোবাসা দিবসে তাহসান-তিশা জুটিকে নিয়ে ‘মুখ ও মুখোশের গল্প’ ভালোবাসার সংজ্ঞা নতুন করে আমাদের সামনে নিয়ে আসে। গল্প, নির্মান, তাহসান-তিশা জুটির অনবদ্য অভিনয় সব মিলিয়ে বছরের শুরুতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং প্রশংসা পায় এই নাটকটি। এই সময়ে এসে আধুনিক প্রযুক্তি, বদলে যাওয়া জীবন-যাপন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক সহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে এই নাটকে। জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত এই নাটক দিয়েই নির্মাতা হিসেবে আশফাক নিপুনও সফল ভাবেই বছরটি শুরু করেন।

যেখানে বিগত কয়েক বছরে ঈদ বা বিশেষ দিন মানেই আশফাক নিপুনের নাটক নিয়ে দর্শকদের মাঝে এক ধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, সেখানে করোনা পরিস্থিতিতে একটা লম্বা গ্যাপ দিয়ে গত কোরবানির ঈদে দুটি টেলিফিল্ম এবং একটি শর্টফিল্ম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আশফাক নিপুন।

শিল্পী সরকার অপু, ঈশিতা, আফরান নিশো এবং আবিরকে নিয়ে ‘ইতি মা’ নামক টেলিফিল্মটি গত বছরের সেরা কাজ হিসেবেও উল্লেখ করেন অনেকেই। ‘ইতি মা’ দিয়ে দক্ষ অভিনেত্রী ঈশিতার যেমন প্রত্যাবর্তন হয়েছে অনেকদিন পরে তেমনি আফরান নিশোকেও পাওয়া গেছে গতানুগতিকের বাইরে। চেনা প্লট, মধ্যবিত্ত শ্রেনীর না বলতে পারা বাস্তবতা, মনুষ্যত্ব বা বিবেকবোধ সহ অনেক কিছুই টেলিভিশনের পর্দায় জীবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে আশফাক নিপুনের নির্মানের মুন্সিয়ানার জোরে। ‘ইতি মা’ দেখে কান্না করেননি বা চোখেন কোন ভিজে উঠে নাই এমন কাউকে খুজে পাওয়া মুশকিল।

আশফাক নিপুনের পরিচালনায় ঈদের অন্য কাজটি হচ্ছে ‘ভিক্টিম’। ঈদের ২য় দিন দুপুর ২.১০ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়েছিলো ‘ভিক্টিম’। দেশের অন্যতম সেরা মেধাবী অভিনেত্রী অপি করিমকে আবারো দেখা গেলো আশফাক নিপুনের পরিচালনায়। এই নায়িকা-পরিচালক জুটি এবারো নিজেদের জায়গায় সেরাটাই উপহার দিলেন সাথে ছিলেন আফরান নিশো এবং সাফা কবির। প্রতিটা চরিত্রই আলাদা ছাপ রেখেছে দর্শকদের মনে। একটি সেন্সেটিভ ইস্যু নিয়ে চিত্রায়িত ভিন্নধর্মী কনটেন্টটি দর্শকদের মন জয় করে। নির্মানের দিক থেকে চিন্তা করলে এটি আশফাক নিপুনের অন্যতম সেরা একটি কাজ।

অন্যদিকে সোলায়মান খোকা এবং সাবিলা নূরকে নিয়ে শর্টফিল্ম ‘অযান্ত্রিক’ নামক শর্টফিল্মটি করোনাকালে বদলে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা এবং দুইটি প্রজন্মের মধ্যকার নানা বিষয় বিশেষ করে টেকনোলজি জ্ঞান নিয়ে পার্থক্য নান্দনিক ভাবেই তুলে ধরেছেন আশফাক নিপুন। একজন অভিনেতা হিসেবে সোলায়মান খোকাকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরাটা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।

পরিচালনার পাশাপাশি গতবছর দুটি বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হিসেবেও দেখা গেছে এই গুনী মানুষটিকে। ইস্পাহানি চা এবং এল্পেনলিভের বিজ্ঞাপনেও তিনি নিজের ছাপ রেখেছেন। গতবছর ক্যামেরার সামনে এবং পেছনে দুই জায়গাতেই সফল ছিলেন আশফাক নিপুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জরিপ বা নাটক সম্পর্কিত নানা পেইজে নির্মাতা হিসেবে তিনিই ছিলেন শীর্ষে।

আশফাক নিপুনের নাটকে অপি করিম, তাহসান, তিশা, মেহজাবীন, আফরান নিশো বা এই সময়ের ইয়াশ রোহান, সাফা কবির, আবির তাদের পরিচিত গন্ডি থেকে বের হয়ে যেনো ভিন্ন এক রুপে হাজির হন। বিশেষ করে এই সময়ে একই গল্পের নাটকে একই রকম অভিনয় নিয়ে সমালোচিত মেহজাবীন এবং আফরান নিশো যেন তার নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে সকল সমালোচনা এবং অভিযোগের জবাব দিয়ে দেন। অভিনেত্রী হিসেবে মেহজাবীন এর ক্যারিয়ারের সফলতার পেছনের পরিচালক হিসেবে আশফাক নিপুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন- এ কথা বললে খুব একটা ভুল হয়না।

স্রোতের বিপরীতে হেঁটেই তিনি একের পর এক উপহার দিয়েছেন ‘মধুরেণ সপায়েৎ’, ‘অবাক ভালোবাসা’, ‘দ্বন্দ্ব সমাস’, ‘ফেরার পথ নেই’, ‘মিস শিউলি’, ‘এই শহরে’, ‘সোনালী ডানার চিল’, ‘পথের মাঝে গল্প’, ‘মুকিম ব্রাদার্স’, ‘আগুন্তক’, ‘সাহেব মেমসাহেব’ ‘আল্পনা কাজল’, ‘মুখ ও মুখোশের গল্প’ সহ অসংখ্যা জনপ্রিয় নাটক। সাম্প্রতিক সময়ে নাট্যজগত নিয়ে হতাশ অনেক দর্শকও এই নাটকগুলো গ্রহণ করেছেন বেশ ভালোভাবেই। বলা হয়ে থাকে যে, এই মুহূর্তে বাংলা নাটকের সবচেয়ে আলোচিত, প্রশংসিত নির্মাতা হিসেবে আশফাক নিপুন আস্থার আরেক নাম।

করোনা পরিস্থিতিতে বাসায় থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন দেশ সেরা এই নাট্যনির্মাতা। বিনা কারনে সাংবাদিক কাজল গ্রেফতার এবং মত প্রকাশের ক্ষেত্রে হয়রানি মূলক ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার নিয়েও বেশ সোচ্চার তিনি। নিয়মিত এসব নানা ইস্যুতে তার বক্তব্য সবার সাথেই শেয়ার করছেন আশফাক নিপুন।

এছাড়া এই ভয়াবহ সময়ে দেশের নানা সেক্টরের অনিয়ম নিয়েও নিজের মতামত তিনি জানিয়েছেন সাহসিকতার সাথে। এখানেই ইন্ডাস্ট্রির অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা একজন মানুষ আশফাক নিপুন। সত্য বা নিজের মনের কথাটা বলতে ভয় পান না তিনি। ব্যক্তিজীবনে বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয় গায়িকা এলিটার সাথে সুখেই সংসার করছেন আশফাক নিপুন।

নাট্যজগতে সফল পদচারণার পর বেশিরভাগ নির্মাতার লক্ষ্য থাকে সিনেমা নির্মানের প্রতি। কারন বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় এবং তাৎপর্য্যময় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। সেই ধারাবাহিকতায় এই মেধাবী নির্মাতাও তার পরিচালিত প্রথম সিনেমার নাম ঘোষনা দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।

‘গোল্লা’ নামক সিনেমাটির প্রি-প্রোডাকশনের কিছু কাজ গুছিয়ে নিয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা ছিলো তার। তবে এর মাঝেই করোনা পরিস্থিতিতে সব থমকে যাওয়ায় আপাতত কিছুই জানা যায়নি। তবে নাটকের মতোই সিনেমাতেও তিনি তার দক্ষতা এবং মেধা দিয়ে ভিন্নধর্মী কিছু নিয়ে হাজির হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বাস্তবতা অবলম্বনে সামাজিক নানা ইস্যু নিয়ে তার করা কাজ এবং যেকোনো বিষয় ভিন্নভাবে দেখার শক্তি তাকে নিয়ে যাবে আরো অনেকদূর, এটাই আমাদের কামনা।

নতুন বছরের শুভকামনা রইলো এই তরুন কিন্তু মেধাবী নির্মাতার জন্য। তবে ভক্ত হিসেবে আমরা চাই কোয়ালিটি বজায় রেখে এই বছর তাকে সংখ্যার হিসেবেও কিছু বেশি কাজে দেখতে পাবো আমরা।

Ad