জন্মদিনে দীপিকা পাডুকোন

আফজালুর ফেরদৌস রুমন : ৫ জানুয়ারি, ১৯৮৬ ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জন্ম নেয়া মেয়েটি একটি সময়ে বলিউডের সবচেয়ে বেশী পারিশ্রমিক নেয়া একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন তা কল্পনাও করেননি মেয়েটির বাবা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাডুকোন এবং ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত মা উজ্জলা পাডুকোন।

ননফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা সেই সুন্দরী এবং পরিশ্রমী মেয়েটি আজ বলিউডের অন্যতম সেরা তারকা। যে কয়জন নারী অভিনেত্রী তাদের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বক্স অফিসে রাজত্ব করছেন এই সময় তাদেরই একজন দীপিকা পাডুকোন। তার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে এই বিশেষ ফিচার।

কোপেনহেগেনে জন্ম হলেও বেড়ে উঠেছেন ভারতের ব্যাঙ্গালোরে। দীপিকার বয়স যখন এক তখন তার বাবা-মা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসেন ব্যাঙ্গালোরে। বাবা প্রখ্যাত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় তাই নিজেকেও একজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। স্কুল জীবনের পুরোটাতেই তার মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল ব্যাডমিন্টন খেলা। জাতীয় পর্যায়ের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।

রাজ্য পর্যায়ের বেসবল প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছেন। ২০১২ সালে দেয়া এক সাক্ষাতকারে শৈশবের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে বের হতেন শরীরচর্চার প্রশিক্ষণ নিতে। এরপর যেতেন স্কুলে। স্কুল থেকে যেতেন ব্যাডমিন্টন খেলতে। সবশেষে স্কুলের হোমওয়ার্ক করে ঘুমোতে যেতেন। শৈশবে পড়াশোনা এবং ব্যাডমিন্টন নিয়ে থাকলেও ক্ষুদে মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন। আট বছর বয়সে দু’টি বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেন।স্কুল জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে দীপিকা স্থির করেন খেলাধুলা নয়, তিনি বরং ফ্যাশন মডেল হবেন।

২০০৪ সালে পুরোদস্তুর ফ্যাশন মডেলে পরিণত হন তিনি। ভারতের ফ্যাশন গুরু এবং কোরিওগ্রাফার প্রসাদ বিদাপার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় দীপিকার নতুন পথচলা। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে লিরিল সাবানের জন্য নির্মিত একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন তিনি। এরপর আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং পণ্যের জন্য মডেলিং করেন।

ডিজাইনার সুনিম ভর্মার জন্য ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে প্রথমবারের মত ক্যাটওয়াকে অংশ নেন দীপিকা। এটা ছিল ২০০৫ সাল, আর এজন্যই কিংফিশার ফ্যাশন এওয়ার্ড থেকে মডেল অব দি ইয়ার পদক জিতে নেন। দীপিকা পাডুকোনের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে যখন ২০০৬ সালে কিংফিশার ক্যালেন্ডারে তার ছবি ছাপা হয়।

ঐশ্বরিয়া রায়ের পর এমন সুন্দরী মডেল আর পাওয়া যায় নি বলে মন্তব্য করেন প্রখ্যাত ডিজাইনার ওয়েনডেল রডরিকস। ২১ বছর বয়সে মুম্বাই চলে আসেন দীপিকা অভিনেত্রী হিসেবে নিজের স্বপ্ন পূরন করার লক্ষ্যে, ওঠেন নিজের খালার বাসায়। এই কঠিন সময়ে বাবা-মা মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন সবসময়।

সেই সময়ে জনপ্রিয় গায়ক, সুরকার হিমেশ রেশাম্মিয়ার গান ‘নাম হায় তেরার’ জন্য নির্মিত মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে আরও পরিচিত হয়ে ওঠেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। কিন্তু দীপিকা তখনই এইপথে পা বাড়ান নি। মডেলিং করার সময়ই বুঝে গিয়েছিলেন অভিনয় ব্যাপারটা এত সহজ নয়। তাই অতটা ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা তখনো হয় নি মনে করে প্রস্তাবগুলো ফিরিয়ে দিলেন। নিজেকে যোগ্য করে তোলার জন্য ভর্তি হলেন অনুপম খেরের ফিল্ম একাডেমীতে।

২০০৬ সালে সাউথের ‘ঐশ্বরিয়া’ সিনেমায় ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায়৷ অভিষেক হয় তার।পরিচালক ছিলেন ইন্দ্রজিৎ লালকেশ। রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের এই সিনেমাটি ছিল তেলেগু ‘মনমধুর’ এর রিমেক। একটি ছোট চরিত্রে অভিনেতা উপেন্দ্রের বিপরীতে অভিনয় করেন দীপিকা। সেই সময় মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সুবাদে পরিচালক ফারাহ খানের নজরে আসেন দীপিকা।

‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ চলচ্চিত্রের একটি চরিত্রে দীপিকাকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৬ সালের শেষ দিকে এসে পরিচালক ফারাহ খান ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ চলচ্চিত্রের উদ্যোগটি স্থগিত করেন। ২০০৭ সালে দীপিকাকে নিয়ে নেন তার মেলোড্রামা ‘ওম শান্তি ওম’ এর জন্য। কাহিনীটির প্রেক্ষাপট ১৯৭০ সাল। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। দীপিকা অভিনয় করেন দ্বৈত চরিত্রে। একটি চরিত্র শান্তিপ্রিয়া যিনি ৭০ দশকের একজন তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী, আরেকটি চরিত্র হচ্ছে স্যান্ডি, যে বিংশ শতাব্দীর একজন আধুনিক তরুনী। দুটি চরিত্রেই নিজের দক্ষতা প্রমান করেন দীপিকা।

সেই সাথে তার অসাধারন লুক, আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব, টোল পড়া হাসি সবকিছুই মন কেড়ে নেয় দর্শকদের। সেবছর ফিল্মফেয়ার সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন তিনি। প্রথম বলিউড সিনেমাতেই শাহরুখ খানের নায়িকা, প্রথম সিনেমা বক্স অফিসে সুপারডুপারহিট এবং প্রশংসা সাথে পুরস্কার প্রাপ্তি সব মিলিয়ে বলা যায় বলিউডে রাজসিক এক আগমন ঘটেছিল দীপিকার।

তারপর ‘বাচনা অ্যায় হাসিনো’ সিনেমাতেও নিজের অভিনয় এবং সৌন্দর্য্যের ছাপ রাখেন তিনি। রনবীর কাপুরের সাথে তার জুটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ইমতিয়াজ আলীর ‘লাভ আজকাল’ সিনেমাতে সাইফ আলীর বিপরীতে দেখা যায় তাকে। বর্তমান সময়ের তরুণদের মাঝে মূল্যবোধের পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরা হয় এ ছবিতে। দৃঢ়চেতা ক্যারিয়ার সচেতন নারীর চরিত্রে তার অভিনয় আলোচিত হয় সাথে সুপারহিট গান সিনেমাটিকে বক্স অফিসে সফলতা নিয়ে আসে।

তবে ২০১০ থেকে ২০১২ সাল অব্দি অনেক সিনেমা করলেও সাফল্য আসেনি। কিছু সিনেমা আলোচনায় এলেও সমালোচক বা দর্শকদের মন ভরাতে পারেনি। এই সময়ে ‘হাউজফুল’ সিনেমা বক্স অফিসে সফলতা লাভ করলেও দীপিকার প্রাপ্তির খাতা শুন্যই ছিল। ‘ব্রেক কে বাদ’ ‘কার্তিক কলিং কার্তিক’ ‘লাফাংগে পারিন্দে’ আলোচিত হলেও বক্স অফিসে সফলতা পায়নি। এর মাঝে অভিনেতা রনবীর কাপুরের সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে।

মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। পার্সোনাল এবং প্রফেশনাল দুই লাইফেই সেসময় বিপর্যস্ত দীপিকা তার কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। কারন বলিউডে টিকে থাকতে হলে হিট সিনেমা উপহার দেয়া ছাড়া অন্য কোন রাস্তা নাই। বলিউড নামক আকাশে তারা হয়ে টিকে থাকাটা কতটা পরিশ্রমের সেটা সবাই জানে। কঠিন পরিশ্রম,কাজের প্রতি ডেডিকেশন, নেটওয়াকিং এবং ভাগ্য এসবকিছুই একজনকে তারকা বানায়। প্রতি শুক্রবার এখানে ভাগ্য বদল হয়,

বদলে যায় অনেক হিসাব-নিকাশ। তাই দীপিকার জন্যও সুপারস্টার উপাধি পাওয়াটা কস্টসাধ্য ছিল। তবে তার পরিশ্রম এবং দক্ষতার টার্নিং হিসেবে ২০১২ সালে ‘ককটেল’ সিনেমা বলিউডে তার অবস্থানের প্রেক্ষাপট পুরোপুরি বদলে দেয়৷ আধুনিক সময়ের গল্প এবং লন্ডনে বসবাসরত এক স্বাধীনচেতা ভারতীয় নারীর চরিত্রে তার নজরকাড়া অভিনয় সমালোচকদের মুখ যেমন বন্ধ করে দেয় তেমনি দর্শকদের মাঝেও ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। অবশেষে নিজের পায়ের তলায় মাটি খুজে পান দীপিকা। দীপিকার জীবনে তারপরের গল্পটা শুধুই সাফল্যের এবং প্রাপ্তির।

২০১৩ সালে চারটি সিনেমা মুক্তি পায় দীপিকার। বক্স অফিসে চারটি সিনেমাই সুপার হিট ব্যবসা করে। ‘রেস-২’ ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ‘গোলিয়ো কি রাসলীলা -রামলীলা’ একের পর এক সুপারহিট, এবং প্রতিটি সিনেমায় তার অভিনয় দক্ষতার প্রশংসা তাকে ওই বছরের বলিউডের বক্স অফিসের সবচেয়ে সফল তারকা হিসেবে প্রমান করে।

নায়ক নির্ভর ইন্ডাস্ট্রিতে দীপিকা প্রমান করেন তিনি একাই একটি সিনেমা সফল করার জন্য যথেষ্ট। ফিল্মফেয়ারে প্রথমবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতে নেন ‘গোলিয়ো কে রাসলীলা -রামলীলা’ সিনেমার জন্য। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে রনভীর-দীপিকা জুটি আলোচনা এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে।

২০১৪ সালে ভিন্নধর্মী ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ সিনেমা সমালোচক দের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা পেলেও বক্স অফিসে মোটামুটি ব্যবসা করে। এরপরে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ সমালোচক এবং দর্শকদের কাছ থেকে নেগেটিভ রিভিউ পেলেও বক্স অফিসে ২০০ কোটির বেশি ব্যবসা করে। সিনেমার ‘লাভলী’ ‘মন বা লাগে’ গান দুটিতে দীপিকার পারফরম্যান্স এবং লুক প্রশংসা কুড়ায় সকলের।

২০১৫ সালে ঐতিহাসিক ‘বাজিরাও মাস্তানি’ সিনেমায় মাস্তানি চরিত্রে তাকে নতুনভাবে আলোচনায় নিয়ে আসে। তার অভিজাত সৌন্দর্য্য, যুদ্ধের নানা দৃশ্যে পারদর্শীতা, ডায়লগ ডেলিভারি এবং অভিনয় প্রতিভা তাকে নিয়ে যায় এক্নন্য উচ্চতায়। রনভীর সিং এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেন তিনি। একই বছর মুক্তি পায় তার ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলক ‘পিকু’।

এই সিনেমায় অসাধারন অভিনয় তাকে বলিউডের দক্ষ অভিনেত্রীদের কাতারে নিয়ে আসে। ঠিক যেন পাশের বাড়ির এক মিস্টি মেয়ে তিনি। সুন্দর, সহজ এবং সাবলীল এক নারীর চরিত্রে তিনি মন জয় করেন সকলের। অমিতাভ বচ্চন এবং ইরফান খানের মতো শক্তিশালী অভিনেতাদের সাথে তার অভিনয় প্রতিভা আলাদা ভাবে স্বতন্ত্রতা তৈরী করে সকলের মনে।

এই সিনেমার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন তিনি। এবছরের আরেকটি মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘তামাশা’ বক্স অফিসে তেমনভাবে সফল না হলেও বলিউডের নতুন যুগের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে গন্য হয়। তার এবং রনবীর কাপুরের অভিনয় প্রশংসা লাভ করে সবার কাছ থেকেই।

ক্যারিয়ারে কিছুটা বিরতি দিয়ে সঞ্জয় লীলা বনশালী’র অলটাইম ব্লকবাস্টার ‘পদ্মাবত’ সিনেমায় ২০১৮ সালে তাকে দেখা গেছে তাকে রুপালি পর্দায়। রানী পদ্মাবতী’র চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আলাউদ্দিন খিলজি চরিত্রে রনভীর সিং লাইমলাইটে চলে আসেন। তবে একজন রানীর আভিজাত্য, ব্যক্তিত্ব, পোষাক এবং দৃঢ়তা সেলুলয়েডে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি অসাধারনভাবে।

এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে রেকর্ড করেন। এমনকি তিনি রনভীর সিং এবং শহীদ কাপুরের চেয়েও বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে অন্যন্য এক উদাহরন তৈরী করেন। তার স্টারডম বা তারকা খ্যাতির জোরটা এ থেকেই বেশ ভালোভাবে আন্দাজ করা যায়। সর্বশেষ ২০২০ সালে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত নিজের প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ছাপ্পাক’ সিনেমায় অ্যাসিড আক্রান্ত নারী মালতির চরিত্রে অসাধারন অভিনয় উপহার দেন তিনি। বক্সঅফিসে সফলতা না পেলেও এই সিনেমায় তার দক্ষ অভিনয় এবং লুক প্রশংসিত হয়েছে।

১৪ বছরের ক্যারিয়ারে কখনো কারো সাথে কোন ঝামেলায় জড়াননি দীপিকা। টাইম-টেবিল মেইনটেইন করা এই বলিউড অভিনেত্রী বলিডে তার কাছের মানুষদের নিয়ে কিছু বলতে বললে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, শাহরুখ স্যার আর ফারাহ ম্যাম আমার দ্বিতীয় পরিবার। তারা যখনই ডাকবেন আমি তখনই যাবো। এছাড়া সঞ্জয় লীলা বনশালীর প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বলিউডে করন জোহর, ইমতিয়াজ আলী, আলিয়া ভাট, আদিত্য রয় কাপুর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া,সাইফ আলী খানের সাথে তার বন্ধুত্ব বেশ গভীর। এক সময়ের প্রেমিক রনবীর কাপুরের সাথেও ভালো বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন তিনি। গতবছর মাদক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে বলিউডের বেশকিছু তারকার সাথে সাথে তাকেও নারকোটিস বিভাগ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিলো। তবে এই কেসে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

প্রায় তিন বছর প্রেম করার পরে ২০১৮ সালে অভিনেতা রনভীর সিংয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দীপিকা। ইতালির লেক কোমোতে কঙ্কানি ও সিন্ধি রীতিতে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পরে অনেক সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি স্ক্রিপ্ট পছন্দ না হবার কারনে। সামনে কবীর খানের পরিচালনায় কপিল দেবের বায়োপিক ‘৮৩’ সিনেমায় তাকে দেখা যাবে ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে।

শকুন বাত্রায় নির্দেশনায় নাম চূড়ান্ত না হওয়া নতুন একটি সিনেমার শ্যুটিং প্রায় শেষ করেছেন তিনি। এই সিনেমায় মূল চরিত্রে দেখা যাবে দীপিকাকে। এছাড়া বাহুবলী খ্যাত তারকা প্রভাসের সাথে একটি প্যান ইন্ডিয়ার বিগবাজেটের সিনেমায় শিগগিরই শ্যুটিং শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি, সাথে আছেন অমিতাভ বচ্চন। এবং বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি শাহরুখ-দীপিকা অনস্ক্রিনে আবারো আসছেন ইয়াশ রাজের বিগ বাজেটের ‘পাঠান’ সিনেমার মধ্য দিয়ে।

এই সিনেমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন জন আব্রাহাম। এছাড়া নিজের প্রোডাকশন হাইজ থেকে মাইথোলজি নির্ভর ‘রামায়ন’ সিনেমার ঘোষনা দিয়েছেন তিনি। এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো হ্নতিক রোশান এর সাথে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি বলে জোর গুঞ্জন বলিউডে। তবে বাকিটা সময়ই বলে দিবে। আপাতত ক্যারিয়ারের এই সুবর্ন সময় পার করা এই অভিনেত্রীর জন্য রইলো জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা।

Ad