মিশা-জায়েদের প্রসংশায় অনন্ত, দিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা

বিনোদন প্রতিবেদক: জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পীদের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত। গাজীপুরের মেঘবাড়িতে বসেছিল দেশের রুপালি জগতের তারাদের মেলা। শনিবার (২৯ ফ্রেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই চলচ্চিত্রাঙ্গনের তারকাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে মেঘবাড়ি। সকাল ৮টায় বিএফডিসি থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন-চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, নৃত্য পরিচালক, সাংবাদিক, টেকনিশিয়ানসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট লোকজন।

মেঘবাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান করেছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এ সময় অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রবীণ-নবীনসহ প্রায় ছয়শত শিল্পী একত্রিত হয়েছেন সেখানে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে একত্রিত হয়েছেন এসব তারকারা। প্রিয় সহকর্মী, বন্ধুদের একসঙ্গে পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সবাই। শুরু হয় কুশল বিনিময়, খেলাধুলা, আড্ডা ও গান।প্রতিবারের মতো এবারও বনভোজনকে কেন্দ্র করে ছিল নানা আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বনভোজনে অংশ নেয়া প্রবীণ তারকাদের মধ্যে ছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক, সোহেল রানা, ডিপজল, রুবেল, আলেকজান্ডার বো, উজ্বল, জাভেদ, রিনা খান, অনন্ত জলিল, বর্ষা, শাহনূর, কেয়া, আফজাল শরীফ, অপু বিশ্বাস, পলি, বিদ্যা সিনহা মীম, কমল, মৌমিতা মৌ, জয় চৌধুরী, নাদিম, তানহা মৌমাছি, শাকিবা, সনি রহমান, অভি, সাইফ খান, শিরিন শিলা, আন্না, আইরিন সুলতানা, রাহা তানহা খান, আনিসুর রহমান মিলন, নূতন, বাপ্পি চৌধুরী, আঁচল, দীঘি, জলি, বিপাশা, ইমন, নীড়, পুষ্পিতা পপি, দিপালী, আসিফ, মারুফ আকিব, শৈলী মান্না, সুব্রত, রতন, অমৃতাসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে বিশাল আয়োজন দেখে শিল্পী সমিতির ভূয়সী প্রশংসা করেন অনন্ত জলিল। তিনি বলেন, পূর্বে এতো সুন্দর আয়োজন কখনো দেখেননি। এতো জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বিশাল আকারে শিল্পী সমিতির বনভোজন সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর কন্ঠে সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বেশ প্রশংসা শোনা যায়। সে শিল্পী সমিতির কর্মকাণ্ডে খুশী হয়ে শিল্পী সমিতির ফান্ডে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলে গান গেয়ে অনুষ্ঠান মাতান কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবার, বাঁধন সরকার পূজা, প্রতীক হাসান, বেলাল খান, রবি চৌধুরী, মম, আয়েশা মৌসুমীসহ আরও অনেকে। এদিন সন্ধ্যায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো তারকাদের মন মাতানো নাচের অংশ। প্রথমেই তিন তারকা আঁচল, বিপাশা কবির, রোমানা নেচে মঞ্চ কাঁপিয়ে দেন।এরপরে রেসি ও জয় তাদের পারফরমেন্স দিয়ে দর্শকদের মাঝে আলোড়ন তুলে দেন। এরপর মৌমিতা মৌ- আশিক চৌধুরী তাদের নাচ নিয়ে এলে চারিদিকে দর্শকদের করতালি পড়ে যায়। একে একে আরশি, অভি-তানহা মৌমাছি এদের মনমুগ্ধকর পারফরমেন্স সবাইকে মুগ্ধ করে। তবে অনুষ্ঠানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নাচ ছিলো শিল্পী সমিতির সভাপতি তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জনপ্রিয় নায়িকা রেসির নাচের অংশ। তাদের দুজনের পারফরমেন্স দেখে মঞ্চে উপস্থিত সকলেই করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন নায়ক রুবেল, ইমন ও দীঘি।

অনুষ্ঠানের শেষে দৃষ্টি নন্দন আতশবাজি পুড়িয়ে এবং মুজিব শতবর্ষকে সম্মান জানিয়ে মঞ্চে সকল শিল্পী সমিতির সদস্যরা জাতীয় সংগীত পরিবেশ করে এই অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।

Ad