করোনাভাইরাস : থমথমে এফডিসি!

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসে সংক্রামিত রোগের সংখ্যা বাড়ছে। নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থবিরতা নেমেছে দেশের সংস্কৃতি ও বিনোদন অঙ্গনে। বন্ধ রাখা হয়েছে টিভি নাটক ও সিনেমার শুটিং।

পাশাপাশি সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা করেছেন হল মালিকরা। জাতীয় নাট্যশালায় হচ্ছে না নাটকের প্রদর্শনী। সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পীররা নিজ উদ্যোগে বাসায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় সচেতনতার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা।

করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে এফডিসির সমিতি গুলো। যার কারনে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে চিরচেনা এফডিসি। এফডিসিতে শিল্পী-কলাকুশলীদের একটা সময় বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেঁটেছে। দিনরাত শুটিং চলেছে সেখানে। কিন্তু গেল কয়েক বছরে কমেছে সিনেমা নির্মাণ। এ অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত মানুষদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে।

কাজ না থাকলেও চিরচেনা এফডিসি লোকজনে মুখরিত থাকত সব সময়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে পুরো এফডিসির কোথাও শোনা যাচ্ছে না ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন, কাট’। সরেজমিনে এফডিসি ঘুরে তেমনটাই মনে হয়েছে। কারও মনে হতে পারে, অচেনা কোথাও চলে এলাম না তো? অথচ এই এফডিসিতে শুটিংয়ের সময় নায়ক-নায়িকা, পরিচালক-প্রযোজকের গাড়ির আনাগোনার পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের ব্যস্ততা। সবার পদচারণে মুখর এফডিসি এখন ফাঁকা। দুই জন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো এফডিসি জুড়ে কোথাও নেই কোনো ব্যস্ততা, কারো মধ্যে নেই কর্মচাঞ্চল্য, কোনো স্পটেই লাইট-ক্যামেরার বালাই নেই, লোকের গুঞ্জন নেই, এফডিসিতে প্রবেশ করতে মূল ফটকে সাধারণ মানুষের হুড়োহুড়ি নেই। একসময়ে সবার পদচারণায় মুখরিত থাকা এফডিসি কয়েক দিন ধরে একেবারে ফাঁকা।

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন। ততদিন ফাঁকাই থাকবে সবার প্রিয় এফডিসি।শুটিংয়ে জমজমাট কিংবা লোক সমাগম এফডিসিকে দেখতে সময় লাগবে আরও কিছু দিন। চলচ্চিত্রপাড়া ঘুরে তেমনটাই আভাস মিলল।

Ad