সত্যজিৎ রায়ের চিঠিগুলো সযত্নে রেখে দিয়েছি : ববিতা

বিনোদন প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক এমন অসংখ্য উপমা যার নামে; তিনি হলেন সত্যজিৎ রায়। আজ (২ মে) এই কিংবদন্তি জন্মের শতবর্ষে পা দিলেন। বাংলা সিনেমাকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

গুণী এই ব্যক্তিকে জন্মশতবর্ষে স্মরণ করলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার পপি, যিনি ববিতা নামে ব্যাপক জনপ্রিয়। মাত্র ১৬ বছর বয়সে এই নির্মাতার সঙ্গে কাজের সুযোগ হয় ববিতার। এ সিনেমাই ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় এই অভিনেত্রীর। ববিতার আজকের ববিতা হয়ে ওঠার পেছনে চরিত্র ‘অনঙ্গ বৌ’-এর ভূমিকা অনেক। আর সেই চরিত্রের কারিগর ছিলেন সত্যজিৎ রায়। সিনেমাটির নাম ‘অশনি সংকেত’।

তাকে স্মরণ করে ববিতা বলেন, ‘অশনি সংকেত’ নামের যুদ্ধবিরোধী ছবি তৈরি করতে চান মানিক দা (সত্যজিৎ রায়)। সেই সিনেমার জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন তিনি। তার ক্যামেরাম্যান নিমাই ঘোষ ঢাকায় এসে আমার প্রায় ২০০ ছবি তুলে নিয়ে গেলেন। এরপর অপেক্ষা। ডাক আর আসে না।

অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটে উল্লেখ করে ববিতা আরও বলেন, প্রাথমিক মনোনয়নের খবর জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে চিঠি আসে আমার কাছে। বড়বোন সুচন্দাকে সঙ্গে করে গেলাম ভারতে। আমাকে ইন্দ্রপুরের স্টুডিওতে আসতে বললেন। স্টুডিওতে নানা প্রশ্ন করলেন তিনি।

এরপর তিনি চিৎকার করে উঠলেন, ‘আমি অনঙ্গ বৌ পেয়ে গেছি! এক সময় পাণ্ডুলিপি হাতে পাই। তারপর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে সিঁথিতে সিঁদুর দেয়া হয়। সাধারণ একটি শাড়ি দেয়া হয় পরতে। সেটা পরেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। মানিক দা যেন আবারও মুগ্ধ।

বলে উঠলেন, ‘মেয়েটি তো দারুণ ফটোজেনিক’। এরপর বাকি ইতিহাস তো সবারই কম-বেশি জানা। সিনেমা মুক্তি পেল। আমার পরিচিত হলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। খুব মিস করি মানিক দাকে। তার পাঠানো চিঠিগুলো সযতনে রেখে দিয়েছি। চিঠিগুলো এখনও পড়ি।

Ad