ঈদে আব্বু বেশি সেলামি দেয় : সাদিকা মালিহা শখ

নাচ দিয়ে ছোট ক্যারিয়ার শুরু করলেও তাতে অল্প দিনেই যোগ হয় অভিনয়। সেখানেও নিজের প্রতিভাকে মেলে ধরেছেন৷ বেশকিছু বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করেছেন শিশুশিল্পী সাদিকা মালিহা শখ। এই শিশু শিল্পীর কাজ ও ঈদ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলে শেখ নাসির উদ্দিন।

এসকে মিডিয়া : কেমন আছো?

সাদিকা মালিহা শখ : আলহামদুলিল্লাহ, করোনায়ও ভালো আছি।

এসকে মিডিয়া : প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সাদিকা মালিহা শখ : প্রথম তো নাচ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করি। অভিনয়টা প্রথম আমার ডিরেক্টর ছিলেন খুব ভালো। উনি আমাকে বুঝায় দিয়েছিলেন। বেশ সহজ হয়ে গিয়েছিল। তখন অনেক ছোট ছিলাম। এখন খুব বেশি মনেও নাই।

এসকে মিডিয়া : এবার ঈদে কোন কোন নাটকে দেখতে পারবো তোমাকে?

সাদিকা মালিহা শখ : করোনার কারনে আসলে তেমন কাজ করা হয়নি।

এসকে মিডিয়া : করোনার সময়ে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানতে চাই?

সাদিকা মালিহা শখ : করোনার তো দেড় বছর হতে চললো। এই সময়ে যতগুলো কাজ করেছি মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। এছাড়া শুধু শট দেওয়ার সময় অর্থাৎ ক্যামেরার সামনে ছাড়া বাকি সময়টা সবাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন।

এসকে মিডিয়া : করোনাকালীন সময়ে পরিচালকরা শিশু শিল্পীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন কী?

সাদিকা মালিহা শখ : নিশ্চয়ই করেন। উনারা তো আমাদের অভিভাবকের মতো সচেতন করে থাকেন। পরিচালক, সহ-পরিচালক সবাই ভীষণ সচেতন। বিশেষ করে সেটে বয়স্ক ও ছোটরা থাকলে তাদের সুরক্ষার দিকটা বেশি খেয়াল রাখেন।

এসকে মিডিয়া : ‘পিলিয়ার’ নাটক সম্পর্কে ছোট করে জানতে চাই?

সাদিকা মালিহা শখ: নাটকটি একেবারে গ্রামীণ জীবন নিয়ে করা। একেবারে সাদামাটা, সহজ সরল জীবন। আমাকে যখন সিলেক্ট করেছিলেন তখন একটু টেনশন হচ্ছিল। পরে সেটে গিয়ে দেখি একেবারেই উল্টো। নাটকটিতে চঞ্চল চৌধুরী বাবা আর শাহানাজ খুশি মা চরিত্রে কাজ করছেন। তারা দুইজন অনেক আন্তরিক। একেবারে আমার আব্বু আম্মুর মতন।

দুদিন শুটিং সেটে থেকেও এক মুহূর্ত মনে হয়নি আমি শুটিংয়েই আছি। সেটের সবাই ভীষণ আনন্দের মধ্যে থাকতেন। পরিচালক শামীম জামান উনিতো আরও ফ্রেন্ডলি আর খুবই মজার মানুষ। নাটকের শেষের দিকে আমি মারা যাই। তবে নাটকটা হাসি, খুশি, দুঃখ বেদনা সব কিছু নিয়ে। দর্শকের অনেক অনেক ভালো লাগবে আশা করি।

এসকে মিডিয়া : গত বছর ঘরেই ঈদ করেছো, এবারও তাই। ঘরে ঈদ করতে কেমন লাগে?

সাদিকা মালিহা শখ : গত বছর ঘরে এবছরও ঘরে ঈদ। সত্যি বলতে ঘরে ঈদ করতে আমার ভালো লাগে না। আমি ঘরে ঈদ করতে চাইনা। আমি সবার সাথে ঈদ করতে চাই!

এসকে মিডিয়া : কদিন বাদেই তো ঈদ। তোমার পরিকল্পনা কি?

সাদিকা মালিহা শখ : তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। ঘরের মধ্যে ঈদ যেমন হয় তেমনইতো কাটাতে হবে।

এসকে মিডিয়া : কে বেশি সেলামি দেয়?

সাদিকা মালিহা শখ : কম বেশি সবাই সেলামি দেয়। গত বছর কম পেয়েছি। তবে আব্বু বেশি দেয়।

এসকে মিডিয়া : আমাদের সময় দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ!

সাদিকা মালিহা শখ : অনেক ধন্যবাদ। এসকে মিডিয়া অনেক দূর এগিয়ে যাক। সবাইকে ঈদ মোবারক।

Ad