‘চরের মাস্টার’ অনুপ্রেরণার গল্প, দেখার আমন্ত্রণ রইলো : প্রতিমন্ত্রী পলক

বিনোদন প্রতিবেদক : তরুণ লেখক ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক রাহিতুল ইসলামের জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘চরের মাস্টার’। বুধবার রাতে এ উপলক্ষে একটি ভার্চুয়াল আড্ডার আয়োজন করে টেলফিল্মটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবিডি।

এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গল্পটিতে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র ফুটে ওঠার প্রসঙ্গ এনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চরের মাস্টার’ একটি অনুপ্রেরণার গল্প, দেখার আমন্ত্রণ রইলো।’

‘বঙ্গ বব লাইমলাইটস উইথ চরের মাস্টার’ আয়োজনটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপন্যাসটির লেখক রাহিতুল ইসলাম, টেলিফিল্মের নির্মাতা ভিকি জাহেদ, অভিনেতা খায়রুল বাশার, মাসুম আজিজসহ বঙ্গ বিডির সিইও আহাদ মোহাম্মাদ, সিওও ফয়েজ তাহের এবং চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমানসহ আরও অনেকে।

‘চরের মাস্টার’ টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে চারটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের ঈদ অনুষ্ঠানমালায়। ঈদের পঞ্চম দিন চ্যানেল নাইনে বেলা ২টায়, দীপ্ত টিভিতে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে, একুশে টিভি রাত ৯.২০ মিনিটে এবং গাজী টিভি রাত ১১.৩০ মিনিটে এটি প্রচারিত হবে।

এছাড়াও এটি থাকবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে। এই টেলিফিল্মটি বঙ্গ তাদের ‘বঙ্গ বব’ (বেইজড অন বুক) প্রজেক্টের অংশ হিসেবে নির্মাণ করেছে। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে অতিথিরা অংশ নেন ‘বঙ্গ বব লাইমলাইটস উইথ চরের মাস্টার’ অনুষ্ঠানে।

এই আয়োজনে প্রতিমন্ত্রী লেখক রাহিতুল ইসলামের লেখা উপন্যাস ও এর বিষয়বস্তুর প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণদের কাছে যেতে হয়। সবখানে গিয়ে আমি যে সমস্যা আঁচ করতে পারি তা হলো, ব্রেইন ড্রেন (মেধার পাচার)। আমাদের এখানে তরুণেরা উচ্চশিক্ষার পর গ্রাম-মফস্বল থেকে শহরে, রাজধানীতে কিংবা দেশের বাইরে নিজেদের স্থায়ী করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করার মতো মেধাবী তরুণ পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু রাহিতুল ইসলাম তার লেখায় এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন, যা ভীষণ অনুপ্রেরণার।’

প্রতিমন্ত্রীর পরই নিজের কথা তুলে ধরেন লেখক রাহিতুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে পত্রিকার পাতায় আমার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খুঁজে পাওয়া গল্পগুলো ৩০০-৪০০ শব্দের ভেতর ধরাবাধা নিয়ম মেনে লিখতে হতো। কিন্তু আমার মনে হলো এমন অনুপ্রেরণার গল্প আরো বড় পরিসরে তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘তাইতো ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পকে আমার লেখনীর মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে একে একে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’ উপন্যাসটি লেখা। বঙ্গ বিডিকে ধন্যবাদ ‘বঙ্গ বব’-এর জন্য এই গল্পটি বেছে নিয়েছে বলে।’

‘চরের মাস্টার’ টেলিফিল্মে দেখা যাবে, শহরের নির্ঝঞ্ঝাট-সচ্ছল জীবন, প্রেমিক, ভালো চাকরি ফেলে গ্রামে চলে যাওয়া এক তরুণ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে। তিনি সেখানে গিয়ে শুরু করেন এক অন্যরকম জীবন। এরই মধ্যে বেরিয়েছে টেলিফিল্মটির ট্রেলার, যা সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

Ad