৬ দিনেই ২০০ জনের ফটোশুট আর প্লানিং করতে ৮ মাস : নানজীবা

তরুণ নির্মাতা নানজীবা খানের বহুল আলোচিত প্রজেক্ট ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’। প্রজেক্টের ২টি অংশ একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আরেকটি এক্সপেরিমেন্টাল ফটোশুট। ক্যামেরার পেছনের কাজের অভিজ্ঞতা এসকে মিডিয়াকে জানালেন নানজীবা খান।

নানজীবা বলেন, ‘মাত্র ৬ দিনে বাংলাদেশের ২০০ জনপ্রিয় মুখের ফটোশুট করেছেন। প্রত্যেকের জন্য সময় ২৪ মিনিট করে ধরে একদিনেই সকাল ৯ টা থেকে সন্ধা ৭ টার মধ্যে ৬০ জনের শুট শেষ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এটির প্লানিং করতে আমার সময় লেগেছে ৮ মাস। আগে ২০০ টি কন্সেপ্ট লক করে ফেইস নিয়ে স্টাডি করেছি। তার সাথে প্রপ্স ও গ্রাফিক্সের ব্যাকগ্রাউন্ড লক করেছি।’

নানজীবা খান জানান, এই ফটোশুটের টিমে ৩ জন ফটোগ্রাফার, ৬ মেকআপ আর্টিস্ট ১১ গ্রাফিক্স ডিজাইনার কাজ করেছেন। তারা হলেন ফটোগ্রাফার তানভীর খান, রাহুল চৌধুরী লুনা, মুস্তফা তারিক হাদি, মেকাপ আর্টিস্ট সাফির মাহমুদ, হাসান খান, ওয়াসিব হাসান, লাকিফুন নিঝুম, ফারহান খান, কাসফিয়া কবির।

প্ররকল্পটির ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’ নামকরণের কারণে প্রথমেই মনে হয় এটি যমজ মানুষদের গল্প। কিন্তু নানজীবা বলেন, ‘এটা একদমই ভুল। আক্ষরিক অর্থে আনওয়ান্টেড মানে অবাঞ্ছিত। ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’ মানে মানুষের লুকায়িত ‘দ্বৈত সত্তা’। তাই আমরা চেহারা দুই ভাগ করে কাজ করছি। ফেইস আর্ট, প্রপ্স ও গ্রাফিক্সের সহায়তায় ২০০টি ইস্যু তুলে ধরেছেন তিনি।’

‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’-কে পরিচালক বলছেন পরীক্ষামূলক সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) প্রকল্প। যেখানে জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭ টি এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) কে কেন্দ্র করে ২০০ টি সামাজিক সমস্যা প্রামাণ্যচিত্র ও ফটোশুটের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন নানজীবা।

এটি নানজীবা ব্যক্তি উদ্যোগে করা একটি প্রকল্প হলেও এর সঙ্গে ৪১টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান নানাভাবে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন নানজীবা।

অন্যদিকে প্রামাণ্যচিত্রটি ‘সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ‘জুরি মেনশন ডকুমেন্টারি ফিল্ম’ পুরষ্কার ও নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের পুরষ্কার পেয়েছে। সেইসাথে পুরো প্রজেক্টি বছরের সেরা সিএসআর প্রজেক্ট হিসেবে গ্লোবাল বিজনেস সিএসআর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

Ad