উন্মক্ত হলো সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের লরেল পোস্টার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিব বর্ষ কে উৎসর্গ করে ২০২০ সালে ৫৪ টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। তারই ধারবাহিকতায় এই বারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১। ১৫ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে উৎসবের লরেল পোস্টার।
বাংলাদেশের পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লরেল পোস্টার করা হয়েছে, লালসবুজকে হৃদয়ে ধারণ করে। পোষ্টারে তুলে ধরা হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের লোগ। সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এই সংস্করণ উসর্গক করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে।
সিআইএফএফ এর প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানান, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তিতে আমরা উৎসবটির উৎসর্গ স্লোক বা লাইন নিয়ে যখন ভাবি, তখন উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জ ঘোষাল বলেন, এই বার উৎসব উৎসর্গ করা হবে “মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে”। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া নামেই আমরা উৎসবটি উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জ ঘোষাল, উপদেষ্টা কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। উপদেষ্টা কমিটিতে আরো আছেন দেশবরেণ্য বিশিষ্টি চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব ও শিল্পসাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা গুনীজন।
সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এর উৎসব কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, আবৃতিশিল্পী, উপস্থাপক ও বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি সামলা ডলী। কো-চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অভিনেতা ও প্রযোজক মঈন খান।
উৎসবের ডেলিগেট সাব কমিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন, অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চঞ্চল সৈকত জানান, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূতিতে আমাদের বিশেষ আয়োজনে,, আমরা আশা করছি শতদেশে এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা বিজয়ের ৫০ বর্ষপূর্তির বার্তা পৌছিয়ে দিতে পারবো।
উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, আমাদের সকল আয়োজন মোটামুটি চুড়ান্ত। বিভিন্ন দেশের প্রায় এক হাজার চলচ্চিত্র এই বার উৎসবে জমা পড়েছে, তারমধ্য থেকে আমাদের প্রোগ্রামার ও সিলেকশন কমিটি প্রতিযোগিতার জন্য লিস্ট তৈরী করতেছেন, ইতোমধ্যে কিছু সিনেমা আমরা সিলেকশন করেছি, আরো কিছু সিলেকশনের কাজ চলছে, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ টি চলচ্চিত্র আমরা সিলেকশন করেছি, তবে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা বা প্রযোজকরা আগামি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন।
সিআইএফএফ এর প্রতিষ্ঠাতা মনজুরুল ইসলাম মেঘ আরো জানান, খুব শিঘ্রই উৎসবের চূড়ান্ত তারিখ, ভেন্যু, জুরী তালিকা প্রকাশ করা হবে। উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষন এই বার ৪ টি আন্তর্জাতিক সেমিনার হবে, ১ টি মাস্টার ক্লাস হবে এবং ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতীয় ১০০ জন পরিচালকের ১০০ টি চলচ্চিত্র নিয়ে মূল প্রতিযোগিতার বাহিরে একটি বিভাগ রাখা হয়েছে, যার নাম দিয়েছি আমরা “বন্ধত্ব শতভাগ”।
উৎসব পরিচালক মেঘ আরো জানান, ‘বরাবরের মতই উৎসব অনলাইন ও অফলাইন দুটি মাধ্যমেই হবে। সেন্সর প্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলি ঢাকায় দর্শকদের জন্য প্রদর্শন করা হবে। সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একটি অংশ ইউরোপিয়ান এক্সটেনশন এডিশন নামে ইউরোপে অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে এশিয়ার চলচ্চিত্রগুলি প্রদর্শিত হবে এবং প্রতিযোগিতা করবে।
আগামি ২০২২ সালে ইউরোপিয়ান এক্সটেনশন এডিশন অনুষ্ঠিত হবে জার্মানীতে এবং ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে গ্রীসে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার তিনমাস পরে ইউরোপিয়ান এক্সটেনশন এডিশন অনুষ্ঠিত হবে, এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই সংস্করণ চলতে থাকবে। সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ইউরোপিয়ান এক্সটেনশন এডিশন এর চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন একুশে পদক প্রাপ্ত কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব নাজমুননেছা পিয়ারী।
প্রধান সমন্বয়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন, ফ্রান্সের বিশিষ্টি অভিনেত্রী, ভারতে নিযুক্ত ফ্রান্স সরকারের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক জুরী মারিয়ান বোরগো।’ উল্লেখ, ঢাকা ফেস্টিভাল ও সিনেম্যাকিং এর আয়োজনে এই উৎসবের পার্টনার মাসুদমঞ্চ, সহজপাঠ স্কুল, রুশদা ফিল্ম।
Ad