রনবীর কাপুর – নেপোকিড থেকে সুপারস্টার

আফজালুর ফেরদৌস রুমন 

এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা জনপ্রিয় এবং ট্যালেন্টেড অভিনেতা বলা হয়ে থাকে তাকে। তিন খান, কুমার এবং হৃতিকের পরে তাকেই বলা হয় আগামীর সুপারষ্টার। বলিউডের আকাশে তার যাত্রাটা ২০০৭ সালে শুরু হলেও এরই মধ্যে অনেকগুলো ব্যবসা সফল এবং আলোচিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তার সমসাময়িক অভিনেতাদের এবং তার মধ্যকার সিনেমার লিষ্ট দেখলেই বোঝা যায় তিনি অনবদ্য এবং স্বতন্ত্র। সম্প্রতি কোভিড পরবর্তী সময়ে সাউথের সিনেমার ঘাড়ে চেপে বসা অবস্থা থেকে বলিউডকে স্বস্তির নিঃশ্বাস উপহার দিয়েছেন তিনি ম্যাগনাম ওপাস ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ এর মাধ্যমে।

বলিউডে টিকে থাকাটাই একটা যুদ্ধ, এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয় অনবরত। তারকাদের সন্তানদের যুদ্ধটা একটু অন্যরকম। স্টার কিড, নেপোটিজম এসব ইস্যু সাথে নিয়েই পথচলা কতোটা কঠিন তা হয়তো শুধু তারাই জানে। তবে প্রথমদিকে অল্প-বিস্তর সুযোগ-সুবিধা পাওয়া গেলেও টিকে থাকতে হয় দক্ষতা আর পরিশ্রম দিয়ে। এই টিকে থাকার লিষ্টে যেকয়টি নাম জ্বলজ্বল করছে এই সময়ে তার মধ্যে একটি হচ্ছে রনবীর কাপুর। জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে এই বিশেষ ফিচার।

রনবীর কাপুর ১৯৮২ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম রনবীর রাজ কাপুর। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অগ্রদূত পৃথ্বীরাজ কাপুরের নাতি। রনবীর ‘রাজ’ নামটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতিমান অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক তাঁর দাদা রাজ কাপুরের থেকে নেওয়া। রনবীরের বাবা সদ্য প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কাপুর এবং মা অভিনেত্রী নিতু সিং কাপুর। একমাত্র বোন ঋদ্ধিমা কাপুর। রনবীর কাপুরের দাদার ভাই ছিলেন আরেক বিখ্যাত অভিনেতা শশী কাপুর। তার চাচা রনধীর কাপুর, চাচী ববিতা কাপুর। এবং তার দুই চাচাতো বোন কারিশমা কাপুর, করিনা কাপুর খানও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। কারিনার স্বামী তার দুলাভাই বলিউডের নবাব খ্যাত সাইফ আলী খান। বলিউডের বিখ্যাত কাপুর বংশের নাম উজ্জ্বল করবেন রনবীর তা যেনো লেখাই ছিলো এবং বাস্তবে হয়েছেও তাই। নিজের অভিনয় দক্ষতা, পরিশ্রম, লুক, অসাধারণ হাসি দিয়ে তিনি আজ হিন্দি সিনেমার অন্যতম বড় তারকা।

মুম্বাইয়ে স্কটিশ স্কুলে পড়ালেখা শুরু করেন রনবীর কাপুর। নীতু সিং এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- শৈশব থেকেই রনবীরের পড়াশুনোর প্রতি তেমন ঝোঁক ছিল না। অবশ্য কাপুর খানদানের কোনো ছেলেই স্কুলের গন্ডি পার করতে পারেননি। অভিনয় এবং ফুটবল খেলার প্রতি ঝোঁক বেশি ছিল। পরিবারের প্রথম কাপুর হিসেবে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করার পর রনবীর তার বাবার পরিচালিত ‘আ আব লোট চালে’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। সিনেমার প্রতি ভালোলাগাটা এই সময় ভালোবাসায় পরিনত হয়। এবং অভিনেতা হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা তখন থেকেই প্রবল হয়। তবে এরপর মায়ের জোরাজুরিতে এইচ.আর বিশ্ববিদ্যালয় অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনামিক্স নিয়ে পড়াশুনো সম্পন্ন করেন। তারপর রনবীর নিউ ইয়র্কের লি স্ট্যাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউট অভিনয়ের উপর কোর্স করেন।

ভারতে ফিরে এসে সঞ্জয় লীলা বানসালীর ‘ব্ল্যাক’ সিনেমায় সহপরিচালক হিসাবে কাজ করেন। এই সিনেমায় কাজ করার সময় পরিচালক বানশালী তাকে এবং সোনাম কাপুরকে নিয়ে ‘সাওয়ারিয়া’ সিনেমা নির্মানের ঘোষনা দেন। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা ফ্লপ হলেও রনবীর কাপুর তার অভিনয়ের জন্য প্রচুর প্রশংসা পান এবং ওইবছর ফিল্মফেয়ারে সেরা নবাগত অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘বাচনা এ হাসিনো’ সিনেমাতে তাকে দেখা যায় বিপাশা বসু, দীপিকা পাডুকোন এবং মিনিশা লাম্বার সাথে। রোমান্টিক কমেডি জনরার এই সিনেমা বক্স অফিসে ভালো সাড়া পেয়েছিল সাথে সিনেমার গানগুলিও জনপ্রিয়তা পায়। এই সিনেমার কাজের সময়ই দীপিকা এবং রনবীর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান।

২০০৯ সালে বন্ধু অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ভিন্নধর্মী ‘ওয়েক আপ সিড’ সিনেমায় দক্ষ অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মার সাথে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন রনবীর। সিনেমাটি বক্স অফিসে হিট তকমা পায়। এই সিনেমাটি জন্য রনবীর কাপুর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন লাভ করেছিলেন। একই বছর তার আরেকটি সিনেমা মুক্তি পায়। ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’ নামক সিনেমায় ক্যাটরিনা কাইফের সাথে তার জুটি বেধে বক্স অফিস এবং সাধারণ দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সিনেমার কিছু গান আজো সমান জনপ্রিয়। দীপিকার সাথে ব্রেকআপ করে এই সিনেমায় কাজ করার সময় ক্যাটরিনার সাথে সম্পর্কে জড়ান তিনি। ২০০৯ সালেই ‘রকেট সিং সেলসম্যান অফ দ্যা ইয়ার’ সিনেমাতে অভিনয় করে অভিনেতা হিসেবে নিজেকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ইয়াশ রাজ ফিল্মসের এই অফট্র‍্যাকের সিনেমায় তার অভিনয় প্রচুর প্রশংসা অর্জন করে। সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেতার পুরস্কার লাভ করে ফিল্মফেয়ারে এই সিনেমা দিয়েই।

২০১০ সালে প্রকাশ ঝা’র ‘রাজনীতি’ সিদ্ধান্ত আনন্দের ‘আনজানা আনজানি’ তাকে সুপারষ্টার হিসেবে নিজেকে প্রমান করার রাস্তায় এগিয়ে দেয় কিছুটা। বিশেষ করে রাজনীতি সিনেমায় নানা পাটেকর, মনোজ বাজপেয়ী এবং অজয় দেবঘনের মতো অভিনেতাদের সাথে চুটিয়ে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালে ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ‘রকস্টার’ সিনেমা তাকে আক্ষরিক অর্থে তারকা খ্যাতি এনে দেয়। অভিনেতা হিসেবে এই সময়ের সেরা আলোচিত তারকা উপাধি এই মিউজিক্যাল ‘রকস্টার’ সিনেমাটি দিয়েই লাভ করেন তিনি। এই সিনেমা দিয়েই ফিল্মফেয়ার সহ সেই বছরের সব পুরস্কার জয় করেন তিনি। অনেকের মতে রনবীর তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন এই ‘রকস্টার’ সিনেমাতেই।

২০১২ সালে ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলক সিনেমা নিয়ে হাজির হন তিনি। অনুরাগ বাসুর পরিচালনা সেই বছরের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিনেমাটি ছিল ‘বারফি’। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং ইলিয়ানা ডি ক্রুজের সঙ্গে পর্দায় রনবীর যেনো ম্যাজিক দেখান। বোবা কালা এক তরুনের চরিত্রে তিনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। সাথে ঝিলমিল চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও ছিলেন অনবদ্য। এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষা চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য ভারতের আনুষ্ঠানিক সিনেমা হিসেবে মনোনয়ন পায়। ফিল্মফেয়ার, স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস এবং আইফা অ্যাওয়ার্ডস সহ সকল জায়গায় সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান রনবীর। দর্শক, সমালোচক থেকে বলিউডের তারকারাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।

২০১৩ সালে বন্ধু অয়ন মুখার্জির পরিচালনায় আবারো হাজির হন তিনি। বন্ধুত্ব, প্রেম নিয়ে নির্মিত “ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি” সিনেমা এই সময়ের তরুন প্রজন্মের কাছে একটি আবেগের নাম। সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন এক্স গার্লফ্রেন্ড দীপিকা পাডুকোন। মান-অভিমান ভুলে তার বন্ধু হিসেবে নতুন করে পথচলা শুরু করেন। জুটি হিসেবে দর্শকরাও তাদের লুফে নেন। সাথে গুনী অভিনেত্রী কাল্কি এবং আদিত্য রায় কাপুর। সিনেমার প্রতিটা গানই সুপারহিট সাথে বক্স অফিস সফলতা। সবমিলিয়ে বলা যায় রনবীর যেনো সাফল্যের শীর্ষস্থানে জায়গা করে নেন।

তবে এই সফলতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি রনবীরের। হঠাৎ করেই ক্যারিয়ার জীবন একটু থমকে যায়। পরবর্তী বেশকিছু সিনেমা একের পর এক ফ্লপ হয়। বেশরম (২০১৩), রয় (২০১৫), বোম্বে ভেলভেট (২০১৫), তামাশা (২০১৫) বক্স অফিসে ভালো সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে গল্প,নির্মান, গান এবং দীপিকা-রনবীর জুটির রসায়নের বদৌলতে ‘তামাশা’ অনেক সমালোচক এবং দর্শকদের কাছেই কাল্ট ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পেয়েছে।

টানা দুই বছর ফ্লপ উপহার দেবার পরে ২০১৬ সালে করণজোহারের ‘এ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমার হাত ধরে আবার তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে। এই সিনেমায় আনুশকা শর্মা এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিপরীতে রোমান্টিক নায়ক হিসেবে বেশ আলোচিত হন রনবীর। ২০১৭ সালে অনুরাগ বসুর ‘জগগা জাসুস’ সিনেমায় ক্যাটরিনা কাইফের সাথে জুটি বাধেন। বক্সঅফিসে ফ্লপ হবার সাথে সাথে সিনেমাটি দর্শক, সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র অনুভূতি পায়। তবে ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন রনবীর। তবে ক্যারিয়ারের সাফল্যগাথা আবার বাস্তবে পরিণত হয় ২০১৮ সালে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক ‘সাঞ্জু’ সিনেমা দিয়ে। সঞ্জয় দত্ত রুপে সেলুলয়েডে অভিনয়ের জাদু দেখান রনবীর কাপুর। রাজনকুমার হিরানীর পরিচালনার এই সিনেমায় সঞ্জয় দত্তকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও বক্স অফিসেও বাম্পার হিট ব্যবসা করে। অসাধারন অভিনয়ের জন্য রনবীর কাপুর ফিল্মফেয়ার সহ সব পুরস্কার লাভ করেন। উল্লেখ্য এই সিনেমাটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী চলচ্চিত্রে মধ্যে অন্যতম একটি সিনেমা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

চার বছরের বিরতির পরে কিছুদিন আগে ইয়াশ রাজ ফিল্মসের বিগ বাজেটের ‘শমসেরা’ দিয়ে বলিউডে কামব্যাক করলেও বক্স অফিসে ধরাশায়ী হয় এই সিনেমাটি। তবে বহুল আলোচিত ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে অয়ন মুখ্যার্জির পরিচালনায় অমিতাভ বচ্চন, আলিয়া ভাটের সাথে ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ বহুদিন পরে হিন্দি সিনেমাপ্রেমী মুখে হাসি ফুটিয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও বক্স অফিসে সারাবিশ্ব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি রূপির কাছাকাছি আয় করে ফেলেছ এটি ইতিমধ্যে। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় ‘ অ্যানিমেল’। এরপরে কাজ শুরু করবেন ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ এর দ্বিতীয় কিস্তির।

একটা সময় ইন্ডাস্ট্রিতে রনবীর কাপুর মানেই এক কথায় রোম্যান্টিক হিরো টাইপ মিথ প্রচলিত থাকলেও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেছেন তিনি বলিউডে। বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর বলিউডের এই সময়ের আরেক জনপ্রিয় এবং আলোচিত অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি। শিগগিরই তাদের সন্তানের আগমন ঘটতে যাচ্ছে। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন রনবীর এবং আলিয়া।

আল পাচিনো তার আইডল হলেও প্রথম দিকে অভিনয় শেখার জন্য গুরু দত্ত ও মেহবুব খানের সিনেমা দেখতেন বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। একটু অবসর মিললেই রনবীর ফুটবল খেলা দেখতে বসে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছিলেন যে, বার্সেলোনার সমর্থক তিনি আর লিওনেল মেসির অন্ধ ভক্ত। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ‘মুম্বাই সিটি এফসি’ নামের ফুটবল দলের মালিকও তিনি।

ভ্রমনপ্রিয় এই অভিনেতার প্রিয় হলিডে স্পট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং ইতালির ভেনিস ও পুলিয়া। ব্যক্তিজীবনে লাজুক এই তারকা জিকিউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অন্য মায়ের মতো আমার মাও চাইত, আমি যেন ডাক্তার হই। কিন্তু আবার ভাবত, এত চুপচাপ একটা ছেলে কীভাবে ডাক্তার হবে। আমার মনে হয়, অভিনেতা হয়ে আমি অন্য চরিত্রের ভেতর নিজেকে আড়াল করতে পারি। ফলে ব্যক্তি আমিকে লুকিয়ে ফেলা সহজ হয়।’

ডাক্তার না হয়ে হয়তো তার এই অভিনেতা হবার কারনেই আমরা এক অসাধারন অভিনেতাকে সেলুলয়েডে দেখতে পাচ্ছি। ‘নেপোটিজম’ ইস্যু বা ‘লাভার বয়’ ইমেজ সরিয়ে রেখে যার অভিনয় প্রতিভা আমাদের মুগ্ধ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রনবীর কাপুর এই প্রজন্মের সেরা আবিস্কার এমনটা বলাও ভুল হবেনা। তবে সামনের দিনে তার পথচলাই ঠিক করে দিবে যে, আগামীর সুপারষ্টার হবার সব যোগ্যতা নিয়ে তিনি কতোটুকু সফল হলেন। জন্মদিনে শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইলো তার জন্য।

সুত্র- ইন্ডিয়া টুডে, মুম্বাই মিরর, উইকিপিডিয়া

Ad