রোহিঙ্গাদের যাপিত জীবনের গল্প নিয়ে অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘রোহিঙ্গা’

আফজালুর ফেরদৌস রুমন 

২০১৭ সালে শুরু হওয়া ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ এর নামে মায়ানমারের বর্মী সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা প্রায় ২৪,০০০ নিরস্ত্র নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করে। মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে জান বাঁচাতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সেই সময়। তবে তাদেরকে দেয়া আশ্রয়ের কারনে এখন বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে নানা সংকটের মধ্য দিয়েও যেতে হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ, হাহাকার, আশংকা সহ আরো অনেক মৌলিক দিক এবং সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘রোহিঙ্গা’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। আজ সিনেমাটি সারাদেশে মুক্তি পাচ্ছে।

 

জানা যায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নানা দিক এবং তাদের আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের নানা রকম ইস্যু নিয়ে অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড এই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন সেই ২০১২ সালে। দীর্ঘ সময় ধরে নানা গবেষণা করে তিনি সিনেমার কাহিনী ও চিত্রনাট্য তৈরী করার কাজ শুরু করেন। তবে ‘রোহিঙ্গা’ নামে এই সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন ২০১৭ সালে। সেই সময়টাতেই মায়ানমারের সেই নৃশংস গনহত্যা সংঘটিত হলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ পালিয়ে আসে এই দেশে। স্বাভাবিকভাবেই তখন এই ঘটনা অবলম্বন করে গল্প বা চিত্রনাট্য আরো বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। রোহিঙ্গাদের আগমনের ঢলের মধ্যেই পরিচালক এবং তার পুরো টিমক্র বেশ কষ্ট করে শুটিং সম্পন্ন করতে হয়েছে। মূলত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কী ঘটেছে, সেটি চলচ্চিত্র আকারে সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতের ইতিহাস নির্মাণ করতে চেয়েছেন পরিচালক ডায়মন্ড।

নাফ নদী, শাহপরীর দ্বীপ, উখিয়া ও টেকনাফের রিয়েল লোকেশনে এই সিনেমার শ্যুটিং সম্পন্ন হয়। প্রতিটি অভিনেতা এবং অভিনেত্রীকে এই সিনেমার শ্যুটিং এর জন্য পরিশ্রম এবং নানা রকম পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে।
অবশেষে দীর্ঘ চার বছর পর সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আজ।

উল্লেখ্য বেশ বড় আয়োজনে নির্মিত সিনেমাটি গত বছরের নভেম্বরে সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট সেন্সর পায়। সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা আরশি হোসেন, ওমর আয়াজ অনি, সাগর, বৃষ্টি, তানজিদ, শাকিবা, হায়াতুজ্জামান, গোলাম রাব্বানি মিন্টু প্রমুখ।

 

Ad