‘সুলতানপুর’ চিত্রনায়ক সাঞ্জু জনের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট

আফজালুর ফেরদৌস রুমন 

মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের আগ্রহ এবং ভালোবাসার কারনে ২০০৬ সালের শেষের দিক থেকে মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করেন সাঞ্জু জন। অসাধারন লুক, আকর্ষনীয় ফিটনেস এবং প্রোডাক্ট ও শ্যুটের থিম অনুযায়ী সাবলীল এক্সপ্রেশনের কল্যানে খুব তাড়াতাড়িই জনপ্রিয়তা এবং আস্থাশীল জায়গায় স্থান করে নেন তিনি। মডেলিং জগতে আলোচনা এবং প্রশংসার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম থেকে কাজ করার অফার পান তিনি। এরপরের গল্পটা অভিনেতা হিসেবে নিজেকে আস্তে আস্তে তৈরী করার…

২০১২ সালে ‘বাংলার পাগলু’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয় সাঞ্জু জন। সরাসরি মডেলিং থেকে সিনেমার অভিনেতা হিসেবে যাত্রাপথ অতোটা মসৃন ছিলোনা যতোটা এখন এই ফিচার পড়ার সময় মনে হচ্ছে। স্টিল ফটো বা র‍্যাম্পে হাটার ব্যাপারটা থেকে ক্যামেরার সামনে অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন পুরোপুরি ভিন্ন এক অধ্যায় সেটা সাঞ্জু জন বুঝতে পারেন অল্প সময়েই। তাই অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার লক্ষ্য নিয়ে একটি নতুন জার্নি শুরু করেন সাঞ্জু। পরবর্তীতে ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’, ‘আমি তোমার হতে চাই’ সিনেমায় সাঞ্জু জনের দেখা মিললেও সিনেমাগুলি দিয়ে তেমনভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি তিনি।

২০১৭ সালে দীপংকর দীপনের এক্সপেরিমেন্টাল সিনেমা ‘ঢাকা অ্যাটাক’ নতুন এক ঘরানার আবহ সৃষ্টি করে ঢাকাই সিনেমায়। সেই সিনেমায় ‘টিকাটুলির মোড়ে’ নামের একটি আইটেম গানে অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে প্রথমবারের মতো সাধারণ দর্শকদের নজর কাড়েন সাঞ্জু জন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির নায়কদের ফিটনেস এবং নৃত্য পারদর্শীতা নিয়ে সবসময়ই একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সাঞ্জু জনের পারফরম্যান্স প্রমান করে দেয় আমাদের নায়কেরাও প্রপার কোরিওগ্রাফি এবং তালিম পেলে বলিউড, তামিল সিনেমার নায়কদের মতো স্ক্রিনে ঝড় তুলতে পারেন।

মাঝে অনেকটা বিরতির পরে এবার সাঞ্জু জন হাজির হচ্ছেন সৈকত নাসির পরিচালিত ‘সুলতানপুর’ সিনেমা নিয়ে। পোস্টার, ট্রেলার, ও জানরে শিরোনামের গান দিয়ে ইতিমধ্যেই জমজমাট বানিজ্যিক সিনেমার আভাস দেয়া ‘সুলতানপুর’ সাঞ্জু জনের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলেও অভিহিত করছেন কেউ কেউ… গল্প এবং চরিত্রের সাথে মিল রেখে তার লুক, বডি ল্যাংগুয়েজ এবং ফিটনেস নিয়ে আলোচনায় তিনি ইতিমধ্যে। পাশাপাশি অধরা খানের সাথে তার রসায়নও নজর কেড়েছে অনেকের৷ এবার সিনেমা রিলিজ পেলেই বোঝা যাবে অভিনেতা হিসেবে সাঞ্জু জন কতোটা সফল হলেন।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাঞ্জু জন জানিয়েছেন, ‘সুলতানপুর’ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে৷ এই সিনেমায় আমার চরিত্রটি স্ক্রিনে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরার জন্য আমি আমার জায়গা থেকে সেরাটাই দেবার চেষ্টা করেছি। আশাকরি দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা উপভোগ করার সময় সেটা বুঝতে পারবেন। তারা হতাশ হবেন না এটুকু বিশ্বাস রাখতে পারেন আমাদের টিমের উপর’…..

সামনে ‘বন্ধন’, ‘কুস্তিগির’, ‘যার নয়নে যারে লাগে ভালো’, ‘হৃদ মাঝারে তুমি’ সিনেমায় দেখা যাবে সাঞ্জু জনকে। পাশপাশি বিনোদনের নতুন জনপ্রিয় মাধ্যম ওটিটিতেও হাজির হচ্ছেন তিনি ওয়েব ফিকশন ‘ইনফিনিটি সিজন টু’ এবং ‘নেটওয়ার্ক’ দিয়ে। আকর্ষনীয় লুক, ফিটনেসের পাশপাশি নিজের মেধা, দক্ষতা এবং ভালো কিছু করার প্রচেষ্টা অভিনেতা হিসেবে সাঞ্জু জনকে নিয়ে যাবে অনেকদূর সেটাই প্রত্যাশা…

Ad